এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশের জিএসপি প্লাস সুবিধা অব্যাহত রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) এবং বাংলাদেশ দেশের বিদ্যুৎ খাতের টেকসই সবুজ রূপান্তরে অবদান রাখতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রায় সবকিছুই ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে দিয়েছে যা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভুমিকা রাখছে। আমি আশা করি যে ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আমাদের উন্নয়নে সহায়তার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ইইউ’র মানবিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে নিরাপদ এবং টেকসই প্রত্যাবর্তনই এই সংকটের একমাত্র সমাধান। আমি খুব দ্রুত এই সংকটের সমাধান খোঁজার জন্য ইইউ’র প্রতি আহ্বান জানাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার এবং নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসনের নিশ্চিতে আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি। আমরা কৌশলগত বিষয়বস্তু নিয়ে ইইউ’র ভবিষ্যৎ অংশীদার হওয়ার পরিকল্পনা করছি। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমরা এই নতুন অংশিদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেছি এবং এই সংক্রান্ত একটি চুক্তি শিগগিরই করা হবে। এটি আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।