২০২৩ সালের এশিয়া কাপের আসর বসার কথা ছিলো পাকিস্তানের মাটিতে। তবে পাকিস্তানে খেলার ব্যাপারে ভারতের রাজি না হওয়ায় এশিয়া কাপের ভেন্যু নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে সংশয়। এই বিষয়ে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাহরাইনে আলোচনায় বসেছিলো এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সদস্য দেশগুলো। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে জানা যায় এই তথ্য।
আলোচনা করেও অবশ্য কোনো সমাধানে আসতে পারেনি এসিসি। আগামী মাসে আরও একবার আলোচনার টেবিলে বসবে দেশগুলো।
এই বছর আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এশিয়া কাপের। তবে ভারতের আপত্তির মুখে ভেন্যু নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা কাটাতে আগামী মাসের বৈঠকে সিদ্ধান্ত আসবে বলেই জানা গেছে।
পাকিস্তানের মাটিতে এশিয়া কাপ না হলে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে আবারও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বেঁছে নেওয়া হতে পারে বলেও জানা গেছে বৈঠক থেকে। এছাড়া তালিকায় রয়েছে কাতারের নামও।
শনিবারের আলোচনা শেষে এসিসির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানা যায়, বৈঠকে ২০২৩ এশিয়া কাপ নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। টুর্নামেন্টটি সফলভাবে আয়োজন করতে কার্যনির্বাহী বোর্ড সব ব্যাপারে একমত পোষণ করেছে। আগামী মার্চে এসিসি কার্যনির্বাহী বোর্ডের পরের বৈঠকের পর আশিয়া কাপ নিয়ে সর্বশেষ ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এদিকে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘ভারত সরকার কোনভাবেই পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার অনুমতি দেবে না। আমরা অন্য দেশের বোর্ডগুলোকেও বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেছি। এ নিয়ে ভাবতে সবাই এক মাস অপেক্ষা করতে চেয়েছে।’
বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মা-শুভমান গিলদের ছাড়া এশিয়া বা বিশ্বের কোনো টু্র্নামেন্ট হলে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানগুলোস সেখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
এর আগে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে পাকিস্তানে খেলতে যাওয়া নিয়ে আপত্তি জানানো হয়। এশিয়া কাপ পাকিস্তানে হলে ভারত সেখানে অংশগ্রহণ করেব না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
সূত্র: ইত্তেফাক