ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) সমিতির ম্যানেজার মোঃ নাজমুল হোসেন এর বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি ও প্রত্যারনার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন ঐ সমিতির প্রত্যারনার স্বীকার সদস্যর স্বামী মোঃ জুলিফিকার আলী। তিনি উপজেলার তালসার গ্রামের মৃতঃ দরবেশ আলীর ছেলে।
আজ বুধবার সকাল ১১ টায় কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শুনান মোঃ জুলফিকার আলী।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন কোটচাঁদপুর শাখার সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) সমিতির মধ্যে আমার স্ত্রী মোছাঃ সাহারা বেগম চলতি বছরের ফের্রুয়ারী মাসের ২০ তারিখে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। আমার সন্তানদের বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রথম দফায় চলতি বছরের ফের্রুয়ারী মাসের ২২ তারিখে ১ বছরের মেয়াদী ২ ল টাকা ঋণ গ্রহন করেন। তার সদস্য আইডি (১৩২) এবং আইডি নং ( ৩৩) পাশ বহি নং (১৬৬২৭)। ১ বছরের মেয়াদকালে ২ ল টাকায় সার্ভিস চার্জ সুদের পরিমাণ সহ মোট ২ ল ২৭ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে লিখিত চুক্তিপত্র হয়। সমিতির কর্তৃপক্ষ বে-আইনিভাবে ৪ টি ফাঁকা ব্যাংক চেক তাদের হেফাযতে নিয়ে রাখেন। মোট ১২টি কিস্তিতে মাসে ১৯ হাজার টাকা দিয়ে কিস্তি চলতে থাকে। ৬টি কিস্তিতে অর্ধেক টাকা পরিশোধ হয়ে যায়।
এর মধ্যে আমাদের টাকার প্রয়োজন হওয়ার কারণে সমিতির ম্যানেজার মোঃ নাজমুল হোসেন এর সাথে আলাপ আলোচনা করা হলে তিনি পূর্বের ঋণ ও সুদসহ সব টাকা এককালীন অগ্রীম পরিশোধ করার শর্তে আবারও ৩ লক্ষ টাকা দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। আমি তার কথায় সরল বিশ্বাসে উক্ত টাকা ধার দিনা করে পরিশোধ করি, নতুন করে ৩ লক্ষ টাকা পাওয়ার আশায়। কিন্তু চুক্তি মোতাবেক ১ বছরে ২৭ হাজার টাকা সুদ দেয়ার কথা থাকলেও সমিতির ম্যানেজার আমাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা সুদ গ্রহন করেন। টাকা শোধ হওয়ার পর সমিতির ম্যানেজার প্রত্যারনার আশ্রয় নিয়ে আমাদের কে ঋণের ৩ লক্ষ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকেন। পরবর্তীতে তিনি জানান আমাদের আর কোন টাকা দেয়া হবে না। সমিতির এমন প্রত্যারনায় ফলে আমরা আর্থিকভাবে খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি বিধায় সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) সমিতি কোটচাঁদপুর শাখার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলা হয় অভিযুক্ত ম্যানেজার মোঃ নাজমুল হোসেন এর সাথে, তিনি জানান আগের ২ লক্ষ টাকা সুদসহ এককালীন পরিশোধের শর্তে ৩ লক্ষ টাকা দেয়ার কথা ছিল, কিন্তু উনারা টাকা ১ কিস্তিতে পরিশোধ না করে ২ কিস্তিতে পরিশোধ করেন, তাই তাদের আর ঋণ দেয়া সম্ভব হয়নি। তাহলে গ্রহকের সাথে প্রত্যারনা করলেন কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন এরিয়া কর্তৃক রাজি না থাকায় ঋণ দেয়া সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে সমিতির ঝিনাইদহ এরিয়ার এরিয়া ম্যানেজার মোঃ হাফিজুর রহমান জানান আমি বিষয়টি অবগত আছি তাদের অন্যত্র ঋণ থাকার কারণে আমাদের সমিতির ঋণ দেয়া সম্ভব হয়নি।