আকাশে আবছা আবছা মেঘের আনাগোনায় ৬ ডিসেম্বর সারাদিন বড্ড নিরুত্তাপ ছিল। কিন্তু সন্ধ্যেটা ছিল অন্যরকম। অন্য এক মেধাবি আলোয় আর সফলতার ঝলকানিতে অত্যুজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল আলমডাঙ্গার বন্ধু সংগঠন মোহনার অফিসকক্ষ।
মোহনার অফিসকক্ষে উপস্থিত হয়েছিলেন আলমডাঙ্গার কৃতি সন্তান এসবি’র (স্পেশাল ব্র্যাঞ্চ) প্রধান বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীর শহিদুল ইসলাম। এলাকার সুধীজন ও আলমডাঙ্গায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মিদের তাঁর সাথে খোলামেলা মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
এলাকার কৃতি এ সন্তানের স্বাচ্ছন্দে নিজেকে মেলা ধরা, খোলামেলা কথাবার্তা, দিলখোলা আচরণ সকলকে মুগ্ধতায় আবিষ্ট করে রেখেছিলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধুনালুপ্ত আলমডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব মিয়া, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, মোহনার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জোহা সাবু মিয়া, প্রবাসি মিজানুর রহমান মিজু, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম, সিনিয়র সহসভাপতি রহমান মুকুল, যুগ্ন সম্পাদক প্রশান্ত বিশ্বাস,
বাড়াদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল হক তবা, সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম রোকন, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের প্রভাষক জামাল হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, রবিউল ইসলাম,আব্দুল খালেক, মিজানুর রহমান মুকিত, ফারুক আলম টুটুল, হেফজুল কাদের, তৌহিদুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, আব্দুল কাদের প্রমুখ।
এ সময় বাংলাদেশ পুলিশের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা মীর শহিদুল ইসলাম সকলের খোঁজ খবর নেন, বন্ধু ও পরিচিতদের খবরা খবর নেন।
তিনি বলেন, আমি ও শফিকুল দুজনই বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছি। আমাদের দিয়ে যদি এলাকার কোন উন্নয়নমূলক কাজ হয়, তবে অবশ্যই সে কাজ করতে চেষ্টা করব। তবে আমাদের দিয়ে করিয়ে নিতে হবে। কারণ আমরা খুবই ব্যস্ত থাকি। তবুও নিজ এলাকার জন্য কিছু করতে পারলে ভাল লাগবে। এছাড়া তিনি ব্যক্তিগত ও এলাকার নানা সমস্যা এবং সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন। বিভিন্ন দেশ ভ্রমণে নিজের অভিজ্ঞতা ও সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে বর্ণনা দেন।
তারপরও হেমন্তের সন্ধ্যার মত রহস্যাবৃত থেকে গেলেন তিনি। হয়তো অন্য আরেক সন্ধ্যায় নিজেকে সবটুকু মেলে ধরবেন এলাকার মানুষের নিকট।
-আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি