বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচন যেন কবি গুরু রবী ঠাকুরের সেই কথাটির মতো হয়ে গেল – শেষ হইয়াও যেন হইল না শেষ হচ্ছে না।
ভোটাভুটির ছয়দিন পরও সাধারণ সম্পাদক পদের ভাগ্য আপিল বিভাগে ঝুলছে। বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে আপিল বোর্ডের কাছে বুধবার চিঠি আসে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে।
তবে এসব চিঠির কোনো ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন জায়েদ খান। জানালেন, আপিল বোর্ডের কার্যকারিতাও নেই আর।
মূলত পরাজিত প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে গোটা সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের উপর।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় হয়ে পিল বিভাগের কাছে দিকনির্দেশনা চেয়ে চিঠিটি আসে। চিঠিতে বিজয়ী সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে চুন্নুর প্রার্থিতার ফল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে আপিল বিভাগের চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সোহানুর রহমান সোহান জানিয়েছেন, ‘বিষয়টির সুরাহা করতে মন্ত্রণালয় আমার ওপর সর্বময় ক্ষমতা দিয়েছে। শনিবার দুই পক্ষের সঙ্গে বসব। অভিযোগগুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করে একটি সামারি তৈরি করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব। ’
কিন্তু এসব চিঠির কোনো ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করলেন জায়েদ খান। জানালেন, আপিল বোর্ডের কার্যকারিতাও নেই আর।
মন্ত্রণালয় থেকে আপিল বিভাগের কাছে আসা চিঠির ব্যাপারে জায়েদ খান বলেন, নির্বাচন শেষ। ২৯ জানুয়ারি করা আপিলের নিষ্পত্তি ও চূড়ান্ত রায় নিপুণরা সবাই মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষরের কাগজ আমার কাছে আছে। এরপর নির্বাচন কমিশন ও আপিল বোর্ডের আর কোনো কার্যকারিতা নেই।
আপিল বোর্ডের উপর পাল্টা প্রশ্ন রেখে জায়েদ খান বলেন, ‘নির্ধারিত সময় পরও নির্বাচন কমিশনার বরাবর আবেদন করলে সেটি আপিল বিভাগ মন্ত্রণালয়ে কীভাবে পাঠায়?’
এই নায়ক বলেন, ‘এসব চিঠির কোনো ভিত্তি নেই। ফলাফল পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। এরপরও বাদীর কিছু বলার থাকলে মহামান্য কোর্টে গিয়ে বলতে পারেন।’
তবে কি আপিল বোর্ডের মধ্যস্থতায় শনিবার বসবেন না? জবাবে জায়েদ খান বলেন, ‘আমাকে সোহান ভাই ফোন দিয়েছিলেন। চিঠিও দেবেন বলেছেন। বসতে চান তিনি। আমি তাকে বলেছি, আমি কেন আপিল বোর্ডের সঙ্গে বসব। কারণ, আপিল বোর্ড তো এখন বিলুপ্ত। কার্যকারিতা ২৯ তারিখেই শেষ হয়ে গেছে। সামনে কমিটির শপথ। সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।’