মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজলা নদীতে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে গাংনী উপজেলা প্রশাসন ও মৎস অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান।
জেলা মৎস কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ খালেক।
এম.এ খালেক বলেন, পুনঃ খনন করা হলে কাজলা নদী হবে মাছের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র ও মৎস্য উৎপাদন ক্ষেত্র। মেহেরপুর বাসীর চাহিদানুযায়ী প্রাণীজ আমিষের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে মুতপ্রায় কাজলা নদী।
বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় কয়েক হাজার বিঘা জমির ফসল তলিয়ে যাওয়ার হাত থেকেও রেহায় পাবে স্থানীয় হাজারো কৃষক। সরকারের কাছে কাজলা নদী পুনঃখননের দাবী জানান এ বক্তা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান কাজলা নদীতে মাছের পোনা অবমুক্ত করণ কালে বলেন, বর্তমান সরকার দেশের বিভিন্ন এলাকার ভৈরব নদী পুনঃ খনন করেছেন। অনেক এলাকার খাল পুনঃ খনন কাজ হয়েছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে পুনঃ খনন করা হবে। ইতোমধ্যে মেহেরপুরের ভৈরব নদী পুনঃখনন করা হয়েছে। এ নদীতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ মাছ শিকার করেন।
জেলা প্রশাসক ড. মুৃনসুর আলম খান আরো বলেন, বর্তমান সরকারের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জেলার খাল বিল ও কাজলা নদী পুনঃ খনননের উদ্যোগ নিয়েছেন। আমি কাজলা নদী পুনঃখননের জন্য আলোচনা করব। তবে খুব শিঘ্রই কাজলা নদী খনন করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
এছাড়াও অবমুক্তকৃত মাছ এমুহুর্তে না ধরার অনুরোধ করে বলেন, এ মুহুর্তে মাছ না ধরে অন্তত তিন মাস পরে মাছ ধরলে অনেক বড় সাইজের মাছ পাওয়া যাবে। তাই সকলের দায়িত্ব এ অবমুক্তকৃত মাছ এমুহুর্তে শিকার না করা। সেইসাথে কারেন্ট জাল কিংবা বেড় জাল কাজনা নদীতে ব্যবহার না করা। কেউ যদি বেড় জাল কিংবা কারেন্ট জাল ব্যবহার করে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও হুশিয়ারি দেন প্রশাসক।
এসময় গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকী, উপজেলা মৎস কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় এক লক্ষ টাকা বরাদ্দে ৪৫৬ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।