আজ ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ঐতিহাসিক পল্টন ট্রাজেডি দিবস (২৭-২৮ অক্টোবর) উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে মেহেরপুর জেলা জামায়াত।
জেলা জামায়াত আয়োজিত আলোচনা সভা আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। পরে শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কে চিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
জেলা জামায়েত ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়েত ইসলামীর আমির মাওলানা তাজউদ্দিন খাঁন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে জেলা জামায়েত ইসলামীর আমির মাওলানা তাজউদ্দিন খাঁন
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ যে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। সেই দিন সাধারণ মানুষের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয় এবং লাশের ওপর নৃত্য করে নির্মমতা প্রকাশ করা হয়। এমনকি একজন কোরআনের হাফেজকে নির্মমভাবে হত্যা করে তার দাঁত উপড়ে ফেলা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের এই বর্বরতার দৃষ্টান্ত মানবতার জন্য কলঙ্ক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা জামায়েতের ইসলামীর সাবেক আমির ছমির উদ্দিন।
এসময় তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকাসহ সারাদেশে যে নৃশংসতা চালানো হয়েছিল, তার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী কার্যক্রমের সূচনা ঘটে। সেদিন শহীদ শিপন, শহীদ মুজাহিদ, শহীদ জসিমসহ অনেকেই শাহাদাত বরণ করেন। এভাবে লাশের ওপর নৃত্য করার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের নিষ্ঠুরতার প্রকাশ ঘটিয়েছে।
জেলা জামায়েত ইসলামীর সেক্রেটারি ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জেলা সমাজ কল্যাণ সেক্রেটারি জারজিস হুসাইন, জেলা রাজনীতি সেক্রেটার রুহুল আমিন, তারবিয়াত সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম, জেলা সুরা সদস্য ডাঃ আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল, সদর উপজেলা আমির সোহেল রানা, সদর উপজেলা সেক্রেটারি জাব্বারুল ইসলাম মাস্টার, মুজিবনগর উপজেলা আমীর খান জাহান আলী, মেহেরপুর পৌর আমির সোহেল রানা ডলার, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নিহত আব্বাসের মেজভাই আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা ও দোয়ার পরে মেহেরপুর কানন সাংস্কৃতিক সংসদের উদ্যোগে হামদে বাবি তায়ালা, শহীদি সংগীত এবং থিমসন পরিবেশন করা হয়।