লাউয়ের মধ্যে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে হৃদরোগ সম্পর্কিত সমস্যা, ডায়াবিটিস এবং স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। আসুন জেনে নেই লাউয়ের রস পান করার উপকারিতা।
লাউয়ে উপস্থিত ফাইবার, ভিটামিন সি, বি৬, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যা, ডায়াবিটিস এবং স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও, লাউয়ের ৯২ শতাংশ পানি গরমে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মতে, লাউয়ের রসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং অনেক শক্তিশালী যৌগ থাকে যা অনেক রোগ প্রতিরোধ করে। এই রস আপনার হৃদরোগের জন্যও খুব ভালো।
ওজন কমায়
লাউয়ের রসে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি থাকে। যার কারণে আপনার পেট দীর্ঘ সময় ধরে ভরা থাকে এবং আপনি অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে পারেন। যা স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ এবং ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
উন্নত হজম ব্যবস্থা
নিয়মিত লাউয়ের রস সেবন কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং পেট ফাঁপা সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি অন্ত্রকেও সুস্থ রাখে।
শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে
লাউয়াতে উপস্থিত ৯২ শতাংশ পানি গরমে শরীরকে পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা করে। লাউ খেলে শরীর ঠান্ডা এবং হাইড্রেটেড থাকে, ফলে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় থাকে।
হৃদরোগের স্বাস্থ্য
লাউয়ের রস হৃদরোগের জন্য ভালো। এই রসে অনেক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। যার কারণে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে।
রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে
লাউয়ের রস রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। লাউয়ের রসে উপস্থিত ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার রয়েছে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
লাউয়ের রস কীভাবে তৈরি করবেন
লাউয়ের রস তৈরি করতে প্রথমে লাউয়ের খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর, লাউ ছোট ছোট টুকরো করে কেটে ব্লেন্ডারে দিন। ব্লেন্ডারে পুদিনা পাতা, লাউয়ের সাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। আপনার সুস্বাদু লাউয়ের রস প্রস্তুত। এই রসের স্বাদ বাড়াতে, এতে জিরা গুঁড়ো, লবণ এবং কালো মরিচ গুঁড়ো যোগ করুন এবং সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
সূত্র: যুগান্তর