ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নিবার্হী পরিচালক মহাসিন আলীসহ পাঁচ কর্মকতার্র বিরুদ্ধে মেহেরপুর কোটে মামলা হয়েছে। যার মামলা নং মেহেরপুর কোট দেওয়ানী মামলা নং-১২৩/২০২০। এ মামলার আসামীরা হলেন, নিবার্হী পরিচালক মহসিন আলী, উপ-পরিচালক প্রশাসন ও মানব বিভাগরের উফতেখার হোসেন, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির পরিচালক কফিল উদ্দিন, সমন্বয়কারী অডিট বিভাগের প্রদীপ্ত কুমার মিত্র ও ইউনিট ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম।
তবে এ বিষয় আমিরুল ইসলাম জানান আমি শেফালী খাতুনের পক্ষে স্বাক্ষী দেব। এ মামলার বাদী শেফালী খাতুন জানান, এরিয়া সমন্বয়কারী হিসাবে কর্মরত ছিলাম। গত ৩০/০৬/২০২০ তারিখ হঠাৎ করে আমাকে আমার পদ থেকে বরখাস্ত ও জরিমানাকরণ ও বেআইনীভাবে আমাকে বরখাস্ত করে ২০২০ সালের মার্চ, এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই মাসের বেতনভাতাদী বন্ধ করে দেয়। আমাকে গত ২৫/০২/২০২০ তারিখ ওয়েভ ফাউন্ডেশনের মানব সম্পদ বিভাগ কার্যক্রম স্থগিত করে একটি কারণ দর্শনোর নোটিশ প্রদান করে। আমার অপরাধ কি জানতে চাইলে কতৃপক্ষ জানান মেহেরপুর ৭ নং ইউনিটের ম্যানেজার, হিসাব রক্ষক ও একজন সিডিও দ্বারা কিছু অর্থ আত্মসাত হয়েছে।
এ বিষয়ে গঠিত একটি তদন্ত কমিটি কতৃক তদন্তের ভিত্তিতে তৎকালীন ম্যানেজারকে বিভিন্ন ভয় ভিতি দেখিয়ে ভুয়া ঋণ বিতরণ ঋণের মাষ্টাররোল ঋণের প্রস্তাবপত্র সফটওয়ারের সাথে তথ্য যাচাই-বাচাই না করে হিসাব কর্মকতার্র বিরুদ্ধে ২৮ লাখ টাকা অত্মসাত দেখানো হয়। যা একজনের পক্ষে ২৮ লাখ টাকা অত্মসাত করা অসম্ভব বলে মনে করি। এটা সফটওয়ারের কারসাজি বলে আমি মনে করি। তাছাড়া সফটওয়ারের তথ্য সংক্ষণের দায়িত্ব ছিলেন ইউনিট ম্যানেজার ও হিসাব রক্ষক। আমার পক্ষে অর্থ আত্মসাত করা অসম্ভব ব্যাপার। বিধি মোতাবেক আমাকে আত্মপক্ষ সর্মথনের সুযোগ না দিয়ে আমার বিরুদ্ধে চাকুরী হতে বরখাস্তা ও জরিমানা করা হয়। উল্লেখ্য সূত্র নং ওয়েভ ফাউন্ডেশন/প্রসাশন ও মানব সম্পদ/১০৪০/২/২০২০ মোতাবেক ৩০/০৬/২০২০ বরখাস্ত করেন।
ফলে বাদীর অষ্টম অধ্যায়ের ৮ ও ৭ অপরাধের ধরণ দরণে দন্ড ও সহায়তা বর্ণিত বিষয়ের সাথে বাদীর বখাস্তের কারণ ও ধারার কোন মিল নেই। ফলে বাদী ঐ ধারায় বর্ণিত কোন অপরাধী নয় বলে শেফালী খাতুন দাবী করেন। তিনি আরো বলেন যেহেতু আমি দোষী না। ফলে আমার ন্যায্য পাওনা ও আমার মান-সম্মাম ক্ষুন্ন হয়েছে বলে আমি মনে করি। ওয়েভ ফাউন্ডেশন মানুষের ন্যায্য অধিকার ও মানবোধীকার নিয়ে কাজ করে আসছে। সেখানে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের শুধু আমি না সকল পযার্য়ের কর্মকতা ও কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাবে অধিকার বঞ্চিত করে আসছে বলে আমি মনে করি।