ওরা আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। চেষ্টা করেছিল জোর করে ডির্ভোজ নিতে। আমাকে ওরা নিবে না, ইচ্ছা থাকলেও আমি ফিরতে পারব না। আমি ওদের বিচার চাই। কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে শুয়ে এ ভাবেই বলছিলেন স্বামী,শ্বাশুড়ী ও দেবরের নির্যাতনের শিকার আকলিমা খাতুন।
আকলিমা খাতুন (৩৫) মহেশপুর উপজেলার আলামপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের মেয়ে। ২৩ বছর পূর্বে দর্শনার মিন্টু মিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয় । সংসার জীবনে দুই ছেলে,স্বামী আর স্ত্রী মিলে তাদের সংসার । এ ছাড়া পরিবারে রয়েছে দেবর ও শ্বাশুড়ি। সংসারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে মিন্টু মিয়া পাড়ি জমায় মালয়েশিয়া। যাবার পর বেশ কিছু দিন ভালই মিলেমিশে চলছিল তাদের পরিবার।
এরপর শুরু হয় দেবর রাজন মিয়া, শ্বাশড়ি জুলেখা খাতুনের নির্যাতন। যা চলত প্রতিবেশী মেম্বর মানিক মিয়ার ইঙ্গিতে। গত কয়েক মাস পূর্বে মিন্টু মিয়া বাড়িতে ফিরে এসেছে। বিদেশ থেকে আসার পর দুই মাস ভাল ব্যবহার করেছিল। পরে দেবর,শ্বাশুড়ি ও মেম্বরের যুক্তি মত শুরু করে আকলিমার উপর নির্যাতন। হিসাব চাই বিদেশ থেকে পাঠানো টাকার। আকলিমা জানায় স্বামীকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও সে বুঝতে চাই না।
গেল মঙ্গলবার বিকালে টাকার জন্য তারা আমাকে মারপিট করে। এরপর রাত ১ টার দিকে আমাকে ঘরে আটকে রেখে স্বামী, শ্বাশুড়ি, দেবর ও মেম্বর বের হয়ে আসে। চেষ্টা করে আমাকে মেরে ফেলার। তারা আবার আমাকে মারপিট করে। পরে আমার চিৎকারে এলাকাবাসি ছুটে আসে । খবর পেয়ে পরের দিন আমার মা, মামারা উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আকলিমা ও তার স্বজনরা নির্যাতন কারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঝিনাইদহ আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছিল।