২০০ কোটি টাকা প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের টার্গেটে ছিলেন বলিউড নায়িকা সারা আলি খানও। সারাকে প্রাইভেটকার উপহার দিতে চেয়েছিলেন চন্দ্রশেখর।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তে জানা গেছে, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ, নোরা ফাতেহি এবং আরও তিনজন অভিনেত্রীও তার লক্ষ্যে ছিলেন। তার টার্গেট করা নায়িকাদের মধ্যে সারা আলি খান, জাহ্নবি কাপুর এবং ভূমি পেডনেকারের নাম ওঠে এসেছে।
এ মুহূর্তে জেলে রয়েছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। জানা গেছে, এই তিন অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন সুকেশ।
জানা যায়, ২০২১ সালে সারাকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেন সুকেশ। তবে নিজের পরিচয় গোপন করে রাখেন সুকেশ। হোয়াটসঅ্যাপে বেশ কয়েকবার কথা চালাচালিও হয়। সুকেশ সারাকে বলেছিলেন, বন্ধু হিসেবে সারাকে তিনি একটি গাড়ি উপহার দিতে চান। তিনি সারাকে জানান, তার সিইও মিসেস ইরানি তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। এই মিসেস ইরানির নাম হল পিঙ্কি ইরানি।
এর মাধ্যমে সুরেশ বিভিন্ন অভিনেত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। সুরজ রেড্ডি পরিচয়ে অনেকবারই সারাকে মেসেজ করেছে সুকেশ। তাকে দামী উপহার দেওয়ার কথাও বলেছেন এই কনম্যান।
সুকেশের তরফ থেকে পাওয়া উপহারের কথা জিজ্ঞেস করেন সারাকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কর্মকর্তারা। সারা লিখিত জানিয়েছেন, সুকেশের উপহারগুলি নিতে একেবারেই মানা করে দিয়েছেন। তিনি এটাও জানিয়েছেন, সুরজ ওরফে সুকেশ তাকে এক বাক্স চকলেট পাঠিয়েছিল। এ ছাড়া ফ্র্যাঙ্ক মুলারের ঘড়িও পাঠিয়েছিল সে। যার দাম প্রায় কয়েক লাখ টাকা।
তার পর ২০২১ সালে সুকেশের স্ত্রী একটি স্যালো উদ্বোধনের জন্য ডাকেন জাহ্নবিকে। সেই সময় প্রায় ১৮ লাখ টাকা উপহার দেওয়ার কথা বলেন সুকেশ। এছাড়া দামি একটি ব্যাগও উপহার দেন জাহ্নবীকে।
এই একই ভাবে ভূমি পেডনেকারের সঙ্গে সুকেশের পরিচয় করিয়ে দেন পিঙ্কি ইরানি। ভূমিকেও গাড়ি উপহার দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তবে তার দেওয়া কোনো উপহারই নেননি ভূমি পেডনেকার।