নাম কেএম জালাল উদ্দীন। কবিরাজ জালাল বলেই পরিচিত। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ১নং সুন্দরপুর দূর্গাপুর ইউনিয়নের কাদিরকোল গ্রামের মৃত আরশেদ আলীর ছেলে।
রবিবার অনুষ্ঠিত তৃতীয়বারের মতো একই ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোট পেয়েছেন ৩ ভোট। ২০১১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে ভোট পেয়েছিলেন ১৩৩। এছাড়া ২০১৬ সালে একই ইউনিয়নের নিজ গ্রামের ১নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে নির্বাচন করে ভোট পান মাত্র ২টি।
এবারের নির্বাচনে তার ওয়ার্ডে আরো তিনজন মেম্বার প্রার্থী রয়েছেন। এরমধ্যে হুমায়ুন কবির ফুটবল প্রতিকে ৬৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। জাহাঙ্গীর আলম মোরগ প্রতিকে পেয়েছেন ৪১০ ভোট এবং মির্জা আব্বাছ টিউবওয়েল প্রতিকে একটি ভোটও পাননি।
পূর্বে দুই নির্বাচনে এলাকার কোন ব্যক্তি জালালের সমর্থন ও প্রস্তাবকারী ছিলেন না। পরে উপজেলার দুই কর্মকর্তা সেখানে তাদের নাম লিখে সহযোগীতা করেন। তবে এবার ভোটে তার নির্বাচনী ফর্মে স্থানীয় দুইজন প্রস্তাব ও সমর্থন করেছেন। নির্বাচনে প্রচার কাজ তিনি নিজেই করে থাকেন। যদিও এবার কোন মাইকিং করেননি।
তবে, পূর্বের দুই নির্বাচনে নিজেই ভ্যান চালিয়ে মাইক বেধে নিজের প্রচার কাজ করেছেন। এবার মাইকিং না করলেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের হাতে তার লাটিম প্রতিকের পোষ্টার দিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন। এদিকে মেম্বার প্রার্থী কেএম জালাল উদ্দীন হলফনামায় ১৯৮৭ সালে এসএসসি পাশ করেন বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া তার তিন স্ত্রী, চার ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি জানান, এবার দিয়ে তিনি তৃতীয়বারের মত নির্বাচন করছেন। নির্বাচনে ভালো সৎ ও যোগ্য প্রার্থী না থাকায় তিনি নির্বাচন করেন। তবে ভোটাররা বোঝে না বলেই তারা অযোগ্য মানুকে ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করেন। তবে একদিন মানুষের মধ্যে সঠিক বুঝ আসবে বলে বিশ্বাস তার।