কবি মঞ্চের মই বেয়ে উপরে উঠে এলেন..
কালো ফ্রেমের চশমাটি রাখলেন টেবিলে
যে চশমায় স্বাধীনতার স্বপ্ন আঁকা ..
”ভায়েরা আমার” তার বজ্রকন্ঠ ধ্বনিত হলো..
কেপে উঠলো কলরেডির মাইক্রোফোন..
লক্ষ জনতার বুকের স্পন্দনে কম্পিত হলো
সেই জাদুকরী শব্দ সম্মোহন…
তোমার আমার ঠিকানা
পদ্মা মেঘনা যমুনা…..
শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হলো সমগ্র বাংলা..
পহাড়ের মত ঐক্যবদ্ধ হলো জনতা..
বিচলিত ঘাতকের দল মার্চের কালো রাতে
মেতে উঠলো নারকীয় হত্যাযজ্ঞে..
কবি কে বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হলো শত্রু শিবিরে.
বেতার থেকে প্রতিধ্বনিত হলো স্বাধীনতার ঘোষণা..
বেজে উঠলো মুক্তিযুদ্ধের দামামা..
তার পর শুধু রক্ত আর রক্ত..
ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর লক্ষ বীরঙ্গার রক্ত
অতঃপর তোমার জাদুকরী আঙুলের ছোয়ায়
জেগে উঠলো সবুজ ব-দ্বীপ…
এক প্রসব কাল সময় চক্রে জন্ম নিল বাংলাদেশ…..
র্দীঘ প্রতীক্ষার পর কুয়াচ্ছন্ন রাত্রি শেষে.
তোমার জন্মশত বর্ষের আগমনী ঘন্টা শুনি
মহাকালের খেরো খাতায়…
শুধু আর একবার ফিরে আসো কবি
তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলায়…