চীন থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৫১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
শুধু চীনেই মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৯১২ জন। চীনের বাইরে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩৯ জন। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছে ৭২ জন। চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ইরানে ৫৪, ইতালিতে ৪১, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২১, জাপান ৬, ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে ৭, হংকং ও ফ্রান্স ২, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, সান ম্যারিনো, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও তাইওয়ানে একজন করে।
এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮ হাজার ৫৯১ জনে দাঁড়িয়েছে। চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ২৬ জন এবং চীনের বাইরে ৮ হাজার ৫৬৫ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে ৭ হাজার ৩৫৩ জনের অবস্থা আশঙ্কানক। এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ১১৪ জন সুস্থ হয়েছে।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানায়, দেশটিতে নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ২০২ জন এবং মারা গেছে ৪২ জন। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৮০ হাজার ২৬ জন এবং মারা গেছে ২ হাজার ৯১২ জন।
হুবেইপ্রদেশের রাজধানী উহানের একটি বুনোপ্রাণী বিক্রির বাজার থেকে ভাইরাসটির উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ কারণে চীনের হুবেইপ্রদেশকে পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। ওই অঞ্চলের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন যে পরিমাণ আক্রান্তের খবর আসছে, তাতে আক্রান্তের আসল খবর জানা যাচ্ছে না। কারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, শুধু তাদের হিসাব পরিসংখ্যানে ধরা হচ্ছে। তাই এর প্রকৃত হিসাব বের করা বা জানা খুবই কঠিন ব্যাপার, যা আরেকটি আশঙ্কার কারণ।
চীনের সব প্রদেশসহ বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। চীনের বাইরে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৫৬৫ জন শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩ হাজার ৭৩৬ জন, যা চীনের বাইরে সর্বোচ্চ।
ভাইরাস সংক্রমণের কারণে চীন ভ্রমণে সতর্কতা, নিষেধাজ্ঞা এবং কড়াকড়ি আরোপ করেছে অনেক দেশ।
ভারত, সিঙ্গাপুর ও শ্রীলংকাসহ অনেক দেশ চীন থেকে আগত যাত্রীদের ভিসা বাতিল করেছে। ভাইরাসের কারণে বিশ্বের অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের চীন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। চীনে অধিকাংশ বিমান সংস্থার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্সসহ আরও অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের চীন থেকে ফিরিয়ে নিচ্ছে।
এ ছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে ৮ স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
গত ডিসেম্বর থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা।
সুত্র-যুগান্তর