অন্যান্য দেশের মতো সিঙ্গাপুরেও বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে দেশটিতে বেশ কয়েকজন রোগীকে শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে একদিনেই শনাক্ত হয়েছেন ৭৫ জন, যাদের মধ্যে ২৬ জনই বাংলাদেশি। গতকাল রোববার দেশটির বিভিন্ন ডরমেটরি থেকে তাদের শনাক্ত করা হয়।
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭৮ জন বাংলাদেশি আক্রান্ত হলেন। আক্রান্ত ব্যক্তিরা অধিকাংশই সিঙ্গাপুরের অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত বিভিন্ন ডরমেটরিগুলোতে অবস্থান করছিলেন।
সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশিদের অবস্থানরত ডরমেটরিগুলোতেই মূলত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। পাঙ্গুলের ডরমেটরিতে নতুন করে ১৭, তোগুন রোডের ওয়েস্টীট ডরমেটরিতে ১৮ জন, তোহ গুনে চারজন, এমআরটি কনস্ট্রাকশন সাইটে তিনজন, সোনাইডাঙ্গা লজে চারজন, ক্যাপেল শিপইয়ার্ডে ছয়জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
বাঙালি অধ্যুষিত মোস্তফা সেন্টারে নতুন করে চারজনসহ সর্বমোট ১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটির বেশ কয়েকটি এলাকার ডরমেটরিগুলোয় মঙ্গলবারের পরিবর্তে গতকাল রোববার রাত থেকেই লকডাউন কর্মসূচি পালন করছে।
ডরমেটরিগুলোতে পরিস্থিতি বিবেচনায় জরুরি অবস্থা জারি করে ১৯ হাজার ৮০০ অভিবাসীকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিতে পাঠিয়েছে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ।
টাস্কফোর্স সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য কর্মীদের জন্য খাবার, মাস্ক, থার্মোমিটার এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত থাকবে।
উদ্ভুত পরিস্থিতে দেশটির সরকার সারা দেশে এক মাসের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামীকাল থেকে এটি কার্যকর হবে। জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বাদে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্প কলকারখানা, কনস্ট্রাকশন সাইটগুলো বন্ধ থাকবে।
অভিবাসীদের থাকার ডরমেটরিগুলোতে করোনার বিস্তার রোধের জন্য সিঙ্গাপুরের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছে।
সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট ১ হাজার ৩০৯। মারা গেছেন ছয়জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩২০ জন।
সুত্র-আমাদের সময়