করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া লোকজনের লাশ দাফনে কেউ এগিয়ে আসত না। অনেকে কাছে ঘেঁষতে চাইত না মৃত ব্যক্তিদের। এমতাবস্থায় তাদের দাফনে এগিয়ে আসেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। একটি টিম গঠন করে মহল্লায় মহল্লায় গিয়ে দাফনে কাজ করেন তিনি। হঠাৎ নিজেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন।
হাসপাতালে কিছু দিন সেবা নিয়ে সুস্থ হন মাকসুদুল। করোনাভাইরাস জয় করে ফের করোনায় মারা যাওয়াদের লাশ দাফনে এগিয়ে আসেন তিনি।
শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডে মিজমিজি বসির উদ্দিন মার্কেট এলাকার বাসিন্দা হাজী ইদ্রিস আলী নামে এক করোনা রোগী মারা যান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির লাশ ৫ ঘণ্টা পড়ে থাকলেও মৃতের পরিবারের ডাকে সাড়া দেয়নি কেউ।
ওই দিন রাত ৩টায় হঠাৎ একটি কল আসে মাকসুদুলের মোবাইলে। তাকে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ব্যক্তির লাশ দাফনে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা মাকসুদুল ও তার টিমের সহযোগিতা চান।
একে তো গভীর রাত, তার ওপর তুমুল বৃষ্টিতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক টিমের সদস্য জোগাড় করতে না পেরে সদ্য করোনা থেকে সেরে ওঠা খোরশেদ নিজেই কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে লাশ দাফনে চলে যান। এ লাশ দাফনের মাধ্যমে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গে মারা যাওয়া ৮০টি লাশ দাফন করলেন খোরশেদ ও তার সহযোদ্ধারা।
কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আজ আমাদের ৮০তম দাফন সম্পন্ন হলো।’
যুগান্তর রিপোর্ট