দীর্ঘ আট মাসের অধিক সময় ধরে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কবে নাগাদ খুলবে তারও নিশ্চয়তা নেই। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে প্রায় ৩৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক শিক্ষক ও ৫০ জনের অধিক কর্মচারীরা কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবনযাপন। অনেকেই জীবনের তাগিদে বেছে নিয়েছেন ভিন্ন পেশা।
কালীগঞ্জের গোল্ডেন সান রেসিডেনসিয়াল স্কুলের পরিচালক আবেদ আলী জানান, করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর মার্চ ও এপ্রিল মাসের শিক্ষকদের বেতন স্কুল ফান্ড থেকে দিলেও পরবর্তিতে তা আর সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ থাকলেও ভবন ভাড়া দেওয়া লাগছে প্রতি মাসেই, এতে করে গুনতে হচ্ছে বড় অংকের লোকশান।
এমন অবস্থায় সরকারি সাহায্য পেলে অন্ততপক্ষে শিক্ষকদের বেতন দেওয়া সম্ভব হবে। স্কুল খোলার পর সকল শিক্ষার্থী অভিভাবকদের আর্থিক দূরঅবস্থার কারণে স্কুলে ফিরে আসবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কিত আছেন।
বাংলাদেশ কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের কালীগঞ্জ শাখার সভাপতি ইকবাল হুসাইন বলেন, কালীগঞ্জের কিন্ডারগার্টেন স্কুল গুলার শিক্ষক দের দীর্ঘ দিন বেতন বন্ধ থাকায় তারা কষ্টে জীবনযাপন করছেন। বেশির ভাগ শিক্ষক উচ্চ শিক্ষিত, তারা সাহায্যের জন্য হাত পাততে পারছেন না কারও কাছে আবার মানসম্মানের জন্য অন্য কোনো ছোট কাজও করতে পারছেন না। সমিতির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সাহায্য চেয়ে নামের লিস্টসহ আবেদন পাঠালেও সেখান থেকে কোনো সাহায্য পাইনি।
কয়েকজন শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, করোনার কারণে স্কুলের সাথে সাথে বাসায় গিয়ে পড়ানোও সম্ভব হচ্ছে না, ফলে আর্থিক সংকটে পড়েছেন অনেকে। অনেকে শহর ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন, অনেকে দোকানে সেলস ম্যানের চাকরি করছেন, অনেকে চায়ের দোকান দিয়েছেন। তারা সরকারি সহযোগিতার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিস বরাবর আবেদন করেছেন বলে জানান।