প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ নয় হাজার ৩৩ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আক্রান্ত আরও ৯৩ হাজার ৭৫১ জন সুস্থ হয়ে ইতোমধ্যে বাড়ি ফিরেছেন। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বার্তা সংস্থা বিএনও নিউজের প্রতিবেদনে এ খবর দেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস বিশ্বের ১৮৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। নানা ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার পরও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এই মহামারী। কিউবাসহ বেশ কয়েকটি দেশ করোনার প্রতিশেধক তৈরির কথা বললেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এমন কোনো ঘোষণা আজ পর্যন্ত দেয়া হয়নি। যে কারণে আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রেন জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান সামনে এনে কাতারভিত্তিক প্রভাবশালী গণমাধ্যমক আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে করোনায় মৃত্যুর মিছিল এ পর্যন্ত ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৪ হাজার ৫০০ মানুষ। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯২ হাজার মানুষ।
করোনাভাইরাসের সুতিকাগার চীন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও ইতালি, ইরান, স্পেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো অনেক দেশের অবস্থা নিয়ন্ত্রণহীন।
এর মধ্যে ইউরোপে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। এর মধ্যেই গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৭৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। এটিই এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর। এর ফলে ইতালিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৮২৫ জনে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৫৭৮ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন করেছে ইতালির সরকার।
যুক্তরাজ্যে সব ক্যাফে, বার ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে যারা কর্মস্থলে যোগ দিতে পারছেন না, তাদের বেতনের ৮০ শতাংশ সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
করোনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মধ্যেপ্রাচ্যের দেশ ইরান। দেশটিতে প্রতি দুই মিনিটে একজন মানুষ মারা যাচ্ছেন। ইরান সরকারের হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৫৬ জনে।
করোনা থাবা বসিয়েছে বাংলাদেশেও। ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পরার পর এ পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ২৪ জন। বহু মানুষ কোয়ারেন্টাইনে আছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রয়োজনে লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছেন দেশজুড়ে।
সুত্র-যুগান্তর