করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ১ হাজার ৫৪৫ জন কোভিড রোগী মারা গেলেন।
এই সময়ে ৩ হাজার ৪১২ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলেন ১ লাখ ১৯ হাজার হাজার ১৯৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৮০ জন এবং মোট সুস্থ ৪৭ হাজার ৬৩৫ জন।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানান, গত ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৫৬৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ হাজার ২৯২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ৪১২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মোট আক্রান্ত ১ লাখ ১৯ হাজার হাজার ১৮৯ জন। শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৮ জন ও নারী ৫ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ১ হাজার ৫৪৫ জন।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৮০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ ৪৭ হাজার ৬৩৫ জন।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩০ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, বয়স বিভাজনে ১১-২০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ৫ জন এবং ৮১-৯০ বছরের মধ্যে ২ জন মারা গেছেন।
নাসিমা জানান, বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ১৬ জন, চট্টগ্রামে ১৫ জন, রাজশাহীতে ৬ জন, খুলনায় ২ জন, ময়মনসিংহে ২ জন, বরিশালে ও সিলেটে একজন করে মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে ৩০ জন ও বাড়িতে ১২ জন মারা গেছেন। মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন একজন।
প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগীশনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।