করোনাভাইরাস টেস্ট করাতে গিয়ে চার বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে খুঁজে পেল মা। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে। পথ শিশু ও অনাথ বাচ্চাদের করোনা টেস্ট করা হচ্ছিল ‘মুসকান কভিড ১৯’ প্রজেক্টের মাধ্যমে। তখনই এই হারিয়ে যাওয়া শিশুর খোঁজ পাওয়া যায়।
২০১৬ সালে পশ্চিম গোদাবরী ড্রিস্টিক্ট থাকেন বব্বা শ্রী ললিতা। স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই ছেলেকে নিয়ে ক্ষেতে কাজ করে সংসার চালাতেন। এছাড়াও পেট চালাতে অন্য কাজও করতেন তিনি। কিন্তু ২০১৬ সালে তার বছর সাত বয়সের বড় ছেলেটি হারিয়ে যায়। বিজয়েন্দ্র রেলওয়ে স্টেশনে এই শিশুটিকে ২০১৬ সালে খুঁজে পায় পুলিশ। তখন সে তার বাড়ির ঠিকানা বলতে পারে না। পরে তাকে একটি অনাথ আশ্রমে রাখা হয়েছিল।
জানা গেছে বাচ্চাটিকে কিডন্যাপ করে বিহারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে জোর করে তাকে দিয়ে শ্রমিকের কাজ করানো হচ্ছিল। পরে সেখান থেকেই পালিয়ে ট্রেনে উঠে পড়ে সে। এবং বিজয়েন্দ্র স্টেশনে তাকে খুঁজে পায় পুলিশ। চার বছর পরিবার ছাড়া ছিল সে।
কভিড ১৯ টেস্ট করাতে গেলে বাচ্চাটি বলে সে পালাকল্লু গ্রামের কাছে থাকতো। এই খবর জানার পর তারা বাচ্চাটিকে নিয়ে যায় সেই গ্রামে। সেখানেই নিজের সন্তানকে দেখে চিনতে পারেন মা। অবশেষে করোনা মিলিয়ে দিল মা-ছেলেকে।
পুলিশ জানিয়েছে তারা সেই সময় এরকম ১০টা বাচ্চাকে উদ্ধার করে। যাদের জোর করে কাজে লাগানো হচ্ছিল বিহারে। তবে এই বাচ্চাটি তার মাকে ফিরে পাওয়ায় খুশি সবাই। ‘মুসকান কভিড ১৯’ প্রজেক্টের সফলতাও বেশ। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তারা ২,৭৩৯টি বাচ্চার টেস্ট করাতে পেরেছে।
সূত্র : নিউজ ১৮।