চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা দিন দিন বাড়ছেই।
গোটা বিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইসে এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৩৯৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। শুধু ইতালিতেই গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৬২৭ জন। এ নিয়ে দেশটিতে ৪ হাজার ৩২ জন মারা গেছে।
তবে করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন ডায়াবেটিস, হার্ট ফেইলিউর, কিডনি ফেইলিউর, হাঁপানি বা ক্রনিক ব্রংকাইটিসের রোগীরা। এ ছাড়া আছেন যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম। যেমন কেমোথেরাপি নেয়া রোগীরা।
ডায়াবেটিস রোগীরা কেন ঝুঁকিতে
আমাদের দেশে বয়স্ক ব্যক্তিদের ডায়াবেটিস বেশি। তার ওপর আমাদের ডায়াবেটিসের রোগীদের একটি বিরাট অংশের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ডায়াবেটিসের কারণে রোগীদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। এছাড়া তাদের জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার সক্ষমতা হ্রাস পায়।
আর ডায়াবেটিসের রোগীদের কিডনি হৃদরোগের জটিলতা দেখা দেয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের বড় ধরনের ঝুঁকি আছে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার।
করোনা প্রতিরোধে ডায়াবেটিস রোগীদের যেসব বিষয় মেনে চলা জরুরি-
১. ডায়াবেটিস রোগীদের জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২. রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ইনসুলিন শুরু করতে হবে। ইনসুলিন দ্রুততম সময়ের মধ্যে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।
৩. করোনা উপসর্গ দেখা দিলে নিজেকে আলাদা রাখতে হবে। শরীর বেশি খারাপ না হলে হাসপাতালে না যাওয়াই ভালো। তবে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে হবে।
৪. যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি ও ডায়াবেটিস আছে, তারা নিজেরা কোয়ারেন্টিনে থাকুন। বাজার, শপিং মল, জনবহুল জায়গা, সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতে হবে। সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে যে কারো থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্বে থাকতে হবে।
৫. পার্কে বা বাইরে হাঁটতে যাওয়া যাবে না। শর্করা নিয়ন্ত্রণে বাড়িতে, বারান্দায় বা করিডরে হাঁটতে হবে ও হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।
৬. ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়াসহ ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। টাকাপয়সা, খবরের কাগজ, পার্সেল ইত্যাদি জিনিস স্পর্শ করলে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
৭. ঘরে কেউ অসুস্থ হলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা করে ফেলতে হবে। বাইরে থেকে আনা কোনো খাবার খাওয়া যাবে না।
সুত্র-যুগান্তর