করোনার নতুন উপধরন বিএফ-৭ ঠেকাতে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা আর্ন্তজাতিক চেকপোস্টে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাওয়ার পর চেকপোস্টে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে হেলথ স্ক্রিনিং বুথ।
দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা চেকপোস্ট সূত্রে জানা যায়, ভারত ফেরত নাগরিকদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টসহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করা হচ্ছে। যাদের বুস্টারডোজ নেওয়া আছে শুধু তাদেরকেই বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
চেকপোস্ট সূত্রে আরও জানা যায়, দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ ভারতীয় পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস সপ্তাহে ৬ দিন এবং প্রতিদিনই কোনো না কোনো মালবাহী ট্রেন ভারত থেকে দর্শনা বন্দরে আসে। স্থলপথে যেসব ভারতীয় পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করেন শুধু তাদেরই সতর্কতার সাথে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে।
দর্শনা সীমান্ত চেকপোস্টে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী শামীম খানঁ জানান, সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে করোনার নতুন ধরন বিএফ-৭ সনাক্তে সতর্কতার সাথে কাজ করতে বলা হয়েছে। সে মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে। তবে লোকবল সংকটের কারণে কার্যক্রম কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
দর্শনা আর্ন্তজাতিক রেলস্টেশনের পরিদর্শক মীর্জা কামরুল হাসান জানান, আন্তর্জাতিক দর্শনা স্টেশনে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস সপ্তাহে ৬ দিন যাতায়াত করে। দর্শনা স্টেশনে মাত্র ১৫ মিনিটের বিরতি থাকে। শুধুমাত্র খাবার পরিবেশন ও ত্রুু বদলানোর কাজ শেষে স্টেশন ত্যাগ করে মৈত্রী এক্সপ্রেস। এছাড়া ভারতীয় মালবাহী ট্রেনে যারা চালক ও সহকারী হিসেবে আসেন তারা আধঘণ্টার মধ্যেই দর্শনা ছেড়ে চলে যান।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা, হেলেনা আক্তার নিপা জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সতর্কতার সাথে সীমান্তে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। তিনি আরও জানান, দর্শনা চেকপোস্টে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বর্তমানে ৩ জন পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন।