সারা বিশ্ব যখন আতঙ্কিত, হাজার হাজার লাশের মিছিল। সারা বাংলাদেশ যখন অবরুদ্ধ। এমন অবস্থায় করোনা ভাইরাস সম্পর্কে কিছুই জানেনা বলে দাবি করেছেন মেহেরপুরের বেশ কয়েকটা গ্রামের মানুষ। শহর এলাকার লোকজন কিছুটা সচেতন হলেও অনেকটা উদাসিন গ্রামের মানুষ।
গত ২৪ মার্চ সন্ধা ৭টা থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যাতীত সকল দোকানপাট বন্ধ ঘোষনা করা হয়। সেই সাথে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লক ডাউন নিশ্চিত করতে কয়েক দফা অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানের সাথে যোগ হয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও সেনা বাহিনী।
এছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে করোনা মোকাবেলার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারপরও গ্রামের মানুষজন এ বিষয়ে এখনো সঠিকভাবে অবগত নয়।
বৃহস্পতিবার মেহেরপুরের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায় স্বাভাবিক ভাবেই চলাফেরা করতে। কোন রকম নিয়ম না মেনেই যেখানে সেখানে বসাচ্ছে আড্ডা।
বিকালে ও সন্ধায় গ্রামের চায়ের দোকান গুলোতে দেখা মিলছে লোকের সমাগম।
ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের ঘরে থাকার কথা বলা হলেও মানছে না অনেকেই।
বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, আমরা দিন আনি দিন খায়। আমরা ঘরে বসে থাকলে পরিবারের লোকজন না খেয়ে থাকবে। সেজন্য এই আতঙ্কের মধ্যেও আমাদের বাইরে বেরোতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাইনউদ্দিন বলেন, আমরা গ্রামের মানুষদের ঘরে থাকার জন্য বার বার অনুরোধ করছি। লোক সমাগম রোধে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি।
জেলা প্রশাসক আতাউল গনি জানান, করোনা ভাইরাস যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য সবাইকে ঘরে থাকার জন্য বলা হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানপাট ছাড়া সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তিনি বলেন, সঠিক মূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য টিসিবি’র মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। যদি এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগে তবে নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য সরকারি ভাবে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেওয়া হবে।
মেপ্র/এমএফআর