বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ফুলচাষ করে বিপাকে পড়েছেন চুয়াডাঙ্গার ফুলচাষীরা। শ শ একর জমির ফুল জমিতে নস্ট হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন চুয়াডাঙ্গার ফুলচাষীরা। বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে তাদের। এমনকি বেশিরভাগ ফুলচাষীর হাতে নতুন করে চাষাবাদ করার টাকাও থাকবে না। চুয়াডাঙ্গার ফুলচাষীদের দাবি, ফুলচাষিদের বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে আর্থিক অনুদান দিতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৬৩ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরণের ফুলের আবাদ হয়েছে। বিভিন্ন মৌসুমে বিক্রির উদ্দেশ্যে ফুলচাষীরা ফুলের আবাদ করে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ফুল বিক্রি করার পথ তাদের হাতে নেই। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা হওয়ায় কৃষকরা তাদের ফুল বিক্রি করতে পারছেন না।
ফুলচাষী শাহীন আলী জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলার বেশিরভাগ ফুল ঢাকায় পাঠানো হয়। এ বছর সেই রাস্তাও বন্ধ। যানবাহন চলাচল বন্ধ এবং চাহিদা না থাকায় ফুল ঢাকাতে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। কৃষিপণ্য হিসেবে কোনোভাবে ঢাকায় ফুল পাঠানো গেলেও ক্রেতা পাওয়া যাবে না বলে মনে করছেন ফুলচাষীরা।
চুয়াডাঙ্গার কেদারগঞ্জ গ্রামের ফুলচাষী আলম আলী জানান, একের পর এক লোকসান দিতে দিতে ফুলচাষীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। নতুন করে চাষ করার মতো টাকা-পয়সাও কৃষকদের হাতে নেই। চুয়াডাঙ্গার ফুলচাষীদের পড়তে হবে বড় ধরণের বিপর্যয়ে।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক সুফি মোঃ রফিকুজ্জামান বলেন, এসময় রজনীগন্ধ্যা ও গাঁদা ফুল বেশি বিক্রি হয়।
চুয়াডাঙ্গার বেশিরভাগ কৃষক এই দুটি ফুলের চাষ করেছেন। এছাড়াও গোলাপ এবং অন্যান্য আরো কিছু ফুলচাষ আছে। ফুল কৃষিপণ্য। কৃষিপণ্য পরিবহনে বাধা নেই। কিন্তু সমস্যা হলো এবারের নববর্ষে ফুল বিক্রি হবে না বললেই চলে। কৃষকের জন্য অবশ্যই তা ক্ষতির কারণ হবে।