প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সাংবাদিক মনির হায়দার বলেছেন, কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা যেনো নিরপেক্ষভাবে প্রকৃতভাবে সাংবাদিকদের বরাদ্দ দেওয়া হয়, আগামীতে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করা হবে।
গতকাল শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফরাবি হাফিজ।
মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক মানিকের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক তুহিন আরণ্য, আবু লায়েছ লাভলু, সাবেক সভাপতি ফারুক হোসেন, রফিক উল আলম প্রমুখ।
মফস্বলের সাংবাদিকতার নানা সমস্যা তুলে ধরে সাংবাদিক মনির হায়দার আরও বলেন, ফুলটাইম সাংবাদিকতা করে ঢাকাতেই চলা যায়না, সেখানে মফস্বলের সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। সাংবাদিকতা এক ধরনের নেশা হয়ে ওঠায় নিজের ক্ষতি করে হলেও এই চ্যালেঞ্জিং পেশাটাকে ধরে রাখেন মফস্বলের সাংবাদিকরা।
তিনি বলেন রাস্ট্র তো এখনো কল্যাণ রাস্ট্র হয়ে ওঠেনি। বিগত দিনে সাংবাদিকদের কল্যাণের নামে রাস্ট্রের টাকা পয়সা দেওয়া হতো। সেই টাকা কাদের কিভাবে দেওয়া হতো আমরা সকলেই তা জানি। আগামীতে সেই ত্রুটিগুলোর সমাধানকল্পে যেনো ব্যবস্থা নেয়া হয় সেব্যাপারে কাজ করবো।
বিগত দিনে মেহেরপুরের সাংবাদিকতার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে তিনি বলেন, নানা ধরনের প্রতিকুলতার মাঝেও এই জেলার সাংবাদিকরা সত্যটাকে তুলে এনেছেন। এখন জেলাতে নবীণ সাংবাদিকদের জয়জয়কার উল্লেখ করে বলেন, এই জেলার নবীন এবং প্রবীণ সাংবাদিকরা আগামীতে জেলাকে নতুনভাবে তুলে আনবেন।
তিনি বলেন, প্রকৃত সাংবাদিকতা করলে সমাজের সকলের কাছেই একজন সাংবাদিক অপ্রিয় হয়ে উঠবেন।
সাংবাদিকতা করলে সমাজের মানুষের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার প্রত্যাশা করা যাবেনা। সাংবাদিকতা না করলে আপনি যেটুকু সহায়তা পেতেন, জেনুইন সাংবাদিকতা করলে সেটা বন্ধ হয়ে যাবে।
এর আগে, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি মনির হায়দার দুই দিনের সফরে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মেহেরপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছালে জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ ও পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
পরে সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে মনির তিনি মতবিনিময় করেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।