গাংনীর কাজিপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থীর ছোট ভাই আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান মুহ আলম হোসাইনকে দফায় দফায় লাঞ্ছিত ও ও তার প্রচার মাইকের ভ্যান চালকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভোট নিয়ে শংকা প্রকাশ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম হুসাইন বলেছেন এ বিষয়ে আগামীকাল শনিবার নির্বাচন কমিশন এবং গাংনী থানায় লিখিত অভিযোগ দেবেন।
তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ভবানীপুর ও বেতবাড়িয়া গ্রামে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ভোট চাচ্ছিলেন। এসময় আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থীর ছোট ভাই আসাদুজ্জামান, ওষধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি বেতবাড়িয়া বাবলুর নেতৃত্বে কিছু ক্যাডার বাহিনী আমাকে ভোট চাইতে নিষেধ করেন। আমি বেতবাড়িয়া থেকে ভবানীপুর গ্রামে গেলে সেখানেও তারা আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। আসাদুজ্জামান আমাকে ধাক্কা মারে এবং তার ক্যাডার বাহিনীর লোকজন হামলা করে। এক পর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আমি সেখান থেকে বেরিয়ে আসি। আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী রেজাউল হকের সামনেই লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এছাড়া আলম হুসাইনের নির্বাচনী প্রচারে ভ্যানওয়ালাকেও প্রহার করে মোবাইল ছিনতাই করে নিয়েছে।
তবে স্থানীয়রা জানান, কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে এলাকায় নানা উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা তৈরি হয়েছে। দলীয় প্রার্থীর ভাই আসাদুল ইসলাম বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ভোটারদের মধ্যে হুমকী ধামকী দেওয়ায় ভীতি তৈরী হয়েছে। বিশেষ করে বেতবাড়িয়া, ভবানীপুর, পীরতলা ভোট কেন্দ্রগুলোতে অবাধ, সুষ্ঠ ভোট নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছে ভোটাররা।
অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আলীমও অভিযোগ করে বলেছেন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভোট নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে কঠোর নজরদারী করতে হবে।