রোজকার কাজের চাপ আর ব্যস্ততার ভিড়ে নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় আর হয়ে ওঠে না। তবে কাজের ফাঁকে মাত্র ১৫ মিনিটেরও কম সময়ে চাইলেই নিজেকে একটু স্বস্তি দেওয়া যায়। জেনে নেওয়া যাক এমন ৮ কৌশল:
মনের ঝুট-ঝামেলা দূর করুন
নিত্য কাজের ফাঁকে অল্প সময়ের জন্য ধ্যানের বিরতি নেওয়া যেতে পারে। কাজটি খুবই সহজ। চুপচাপ চোখ বন্ধ করে বসে থাকুন এবং নিশ্বাস নিন। এভাবে করতে করতে যখন মনে হবে হঠাত্-ই মনোযোগ সরে গেছে তাহলে আবার নিঃশ্বাসে মনোযোগ ফিরিয়ে আনুন। এভাবে কিছুক্ষণ করতে পারলে দেখবেন আগের থেকে অনেক স্বস্তি লাগছে এবং ধৈর্যশক্তি বেড়েছে।
ঘরের বাইরে যান
খোলা পরিবেশে রোদে বসতে বা তাজা বাতাস পেতে কয়েক মিনিটের জন্য ঘরের বাইরে যান। গবেষণায় দেখা গেছে, বাইরে থাকার সময়টায় মানুষের মধ্যে প্রাণশক্তি ও স্মৃতিশক্তি বেড়ে যায় এবং যেকোনো বিষয়ে উদ্বেগ কমে যায়। যদি আপনি শহরের বাসিন্দা হয়ে থাকেন তবে গাছ, ফুল এবং পার্কের সংস্পর্শে থাকার চেষ্টা করুন। নিজেকে প্রকৃতির সান্নিধ্যে রাখার চেষ্টা করুন।
প্রাণ খুলে হাসুন
মন খুলে হাসা মানসিক স্বস্তির জন্য অনেক উপকারী। হাসিখুশি থাকতে মজার কোনো বইয়ের কয়েক পাতা পড়ুন, প্রিয় কোনো কৌতুক অভিনেতার ভিডিও দেখুন অথবা এমন কারো সংস্পর্শে আসুন যে সবসময় আপনাকে হাসি-খুশি রাখতে পারে। কারণ হাসি মানুষের মেজাজ হালকা করে, হূদয়, ফুসফুস ও পেশিকে উদ্দীপিত করে। মস্তিষ্ককে আরো ভালো অনুভূতির জন্য এন্ডোরফিন নিঃসরণ করে।
নিজের সঙ্গে ঘটা ভালো কাজের হিসাব করুন
নিজেকে স্বস্তিবোধ করাতে একটি কলম নিন এবং অন্তত এমন কয়েকটি জিনিস তালিকাভুক্ত করুন যার কারণে ওই দিনের জন্য আপনি কৃতজ্ঞবোধ করছেন। নিজেকে নিয়ে একটু চিন্তা করুন, সারাদিন আপনার সঙ্গে কী কী ভালো কিছু ঘটেছে আর আপনার জন্য কোন বিষয়গুলো ইতিবাচক হয়েছে। হোক সেটা বড় কিংবা ছোট কোনো ঘটনা।
পরিচিতদের শুভেচ্ছা জানান
অন্যের প্রতি সমবেদনার চর্চা করাও মানুষকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত বন্ধু, পরিবারের সদস্য, সহকর্মী বা পরিচিতদের তালিকা থেকে কাউকে বেছে নিন আর তাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান।
স্মার্ট স্ন্যাকস
ভালো ক্যালরি, স্বাস্থ্যকর এমন কিছু খাবার আপনাকে সতেজ রাখতে পারে। সহজে পাওয়া যায় এমন কিছু স্ন্যাকসের তালিকায় রাখতে পারেন কমলালেবু। এটি একটি সাইট্রাস ফল যাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা আপনার ইমিউন সিস্টেমের জন্য ভালো। এছাড়াও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের জন্য আখরোট, বাদাম বা পেস্তা খেতে পারেন। এসব খাবার আপনার স্ট্রেস হরমোনগুলোকেও বের করে দেয়।
একটি ভালো কাজ করুন
নিয়মিত একটি ভালো কাজ করুন। স্বেচ্ছাসেবী যেকোনো কাজে মানসিক স্বস্তি মেলে। হতে পারে আপনার পরিবারের কারো জন্য কিংবা প্রতিবেশী-আত্মীয়স্বজন।
ধন্যবাদ নোট লিখুন
যে আপনাকে সাহায্য করেছে তার প্রশংসা করতে কয়েকটি শব্দ লিখে রাখুন। আপনি সাম্প্রতিক কোনো সহায়তা, জন্মদিনের উপহার বা দীর্ঘস্থায়ী সমর্থনের জন্য কাউকে ধন্যবাদ জানাতে পারেন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা এটি করেছে তারা আসলে নিজেদেরকে আরো কৃতজ্ঞ হতে প্রশিক্ষিত করেছে।
সূত্র: ইত্তেফাক