দীর্ঘ সাড়ে ১৮ মাস কারাভোগ শেষে ৩ ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আআন্তজার্তিক চেকপোষ্ট দিয়ে বিজিবি বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে।
হস্তান্তরের সময় বিজিবি, ইমিগ্রেশন পুলিশ ও ভারতের পুলিশ, বিএসএফ, ডিআইবি, কাস্টমর্স কর্মকর্তাসহ এনজিও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। গতকাল ১০ অক্টোবর সোমবার দুপুরে দর্শনা চেকপোষ্টের ৭৬ নং মেইন পিলারের কাছে শূন্য রেখায় হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পর্ন করা হয়। ফেরত যাওয়া ভারতীয় নাগরিকরা হলেন- ভারতের উত্তর চব্বিশপরগনা জেলার হাবড়া থানার হায়দারবেলিয়া গ্রামের মৃত রতন দের ছেলে সুমন দে, তার স্ত্রী সুজাতা দে ও শিশুপুত্র শুভজিত দে।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে সুমন দে, তার স্ত্রী ও শিশুপুত্র সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে মামা গোতম দত্তের বাড়িতে আসেন যশোর জেলার রুপদিয়া মুন্সিপুর গ্রামে।
ঝিনাইদহ জেলা কারাগার থেকে সোমবার সকালে তাদের চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোষ্ট এলাকায় নেওয়া হয়। কাগজপত্রে জটিলতার থাকায় আব্বাস নামের এক ভারতীয় নাগরীককে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। তাকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। স্বাজনদের দেখে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। একই বছরের মার্চ মাসে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় তাদের বিজিবি আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবি পাসপোর্ট আইনে মামলা করলে আদালত তাদের ৩ মাসের কারাদন্ড দেয়। দীর্ঘ দিন কারাভোগ শেষে দুই দেশের আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্ণ করার পর সোমবার দুপুরে দর্শনা চেকপোষ্টের শূন্য রেখায় এ হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পর্ণ হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আবু নাঈম, বিজিবির দর্শনা চেকপোষ্ট ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল জলিল, দর্শনা থানার এসআই শামিম রেজা। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ সন্দিপ কুমার তেয়ারি, গেদে বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার নাগেন্দ্র পাল, কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইনচার্জ বাবিনমুখার্জি।
ভারতের কোলকাতার নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইনচার্জ বাবিমুখার্জি বলেন, তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কারাভোগ ও প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরে আসলো।