চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীন পাড়ার আবাসন প্রকল্পের ১০ টি পরিবার আজ দীর্ঘ বছর ধরে ভাঙ্গা ঘরে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে।
জানা গেছে,কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীনপাড়ার আবাসন প্রকল্পের ১১ নাম্বার ছাউনির ১০ টি ঘর বিগত ১১ বছর পূর্বে আগুনে পুড়ে যায়।পুড়ে যাবার পর থেকেই ঘরের চালের টিনগুলো নস্ট হতে থাকে। বিগত কয়েক বছর ধরে ১০ টি অসহায় ভূমিহীন পরিবারের ঘরের টিনের চাল গুলো বড় বড় ছিদ্রে পরিনত হয়েছে।একটু বৃষ্টি হলেই প্রবল বেগে পানি ঘরে ঢুকে পড়ে পুরো ঘর ভিজে একাকার হয়ে যায়।সূর্যের প্রচন্ড তাপ টিনের বড় বড় ছিদ্র ভেদ করে ঘরে প্রবেশ করে।ঘর না বারান্দা অনেক সময় তারা নিজেরাই এটা বুঝতে পারেনা।উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের কাছে তারা ধর্না দিয়েও পাননি কোন প্রতিকার।বাধ্য হয়ে তারা কয়েক বছর ধরে টিনের চালের নিচে পুরো ঘর জুড়ে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছেন।তারা জানান বৃষ্টি হলে এসব পলিথিনে কোন কাজ হয়না।ঘর ভিজে একাকার হয়ে যায়।আবাসন প্রকল্পটির বাসিন্দা খতিব জানান প্রতি তিনমাস পর পর পলিথিন বদলাতে হয়। সংসার চালাবো না পলিথিন কিনবো
ওহাব,জমির,ইয়াকুব,জুবাইয়া জানান বৃষ্টি হলে ঘরে থাকতে পারিনা। বাচ্চা দের নিয়ে খাটের নিচে থাকতে হয়।
রফিকুল,শরীফ,রিয়াদ,পিয়ারী,মোশারফ জানান আজ দীর্ঘ ১১ বছরেও আমাদের এ দশটি পরিবারের টিনের চালের ব্যাবস্থা হলোনা। আমরা অসহায় ভূমিহীন আমরা কার কাছে যাবো।কে আমাদের সাহায্য এগিয়ে আসবে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সাথে কথা বললে তিনি জানান আমার কাছে একটি লিখিত দরখাস্ত করুক। আমি দেখে অবশ্যই ব্যাবস্থা নিবো।পবিত্র ঈদ উল ফিতর যাতে এ অসহায় পরিবার গুলো সন্তানদের নিয়ে আনন্দে করতে পারে তার জন্য পবিত্র ঈদউল ফিতরের আগে এ পরিবার গুলো ঘরের টিনের চালের ব্যাবস্থা করে দিতে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার গুলো সহ সচেতন মহল।