চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় রেল লাইন স্থাপনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রবিবার বিকাল ৪ টায় সচেতন মহলের আয়োজনে কোমরপুর ব্রীজ মোড়ে (কার্পাসডাঙ্গা ৪নং ওয়ার্ড কোমরপুর-বাঘাডাঙ্গা) ডা. রবিউল হকের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটেছে। এদেশে কৃষক সমাজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু কৃষি জমি নষ্ট করে রেল লাইন স্থাপনের সরকারি সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে ভুক্তভোগী কৃষকরা। যে কারণে শত শত বিঘা কৃষি জমি নষ্ট হবে। এলাকার কৃষিজীবী মানুষ না খেয়ে মরবে। বাঘাডাঙ্গা ও কোমরপুরে যেখান দিয়ে পিলার স্থাপন করা হচ্ছে সে সব জমি অধিকাংশ ৪ ফসলি।
আর এসব ফসল ফলিয়ে কৃষকেরা কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করে। বর্তমান সময়ে কোন কৃষকেরই ১০ বা ২০ বিঘা জমি নাই। কারো ২ বিঘা, কারো ১ বিঘা বা কারো ১০ কাঠা। এই শেষ সম্বলটুকু যদি রেললাইন করতে চলে যায় তবে কৃষকদের ঐ রেল লাইনেই মাথা দিয়ে মরতে হবে। তাছাড়া তারা তো বাড়ি গিয়ে সন্তানদের মুখে এক মুঠো খাবারও তুলে দিতে পারবেনা। তাই তাদের বিকল্প পথ রেললাইনে মাথা দিয়ে মরা।
সরকারের কাছে আমাদের জোর দাবি রেল লাইন স্থাপন করে এলাকায় দূর্ভিক্ষ ডেকে আনবেন না। সাধারণ কৃষককে দুমুঠো ডাল ভাত খাওয়া থেকে বঞ্চিত না করে তাদের বাঁচাতে বাঘাডাঙ্গা ও কোমরপুরের ৪ ফসলি জমি দিয়ে রেল লাইন না করার জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসী।
এসময় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জাহিদুর রহমান মুকুল, রবিউল হোসেন শুকলাল, ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মন্টু, ডা. ইবাদত আলী, আবুল কাশেম, আশরাফ আলী, রবজেল আলী, হযরত আলী, মহাসিন আলী, নোয়াজ্জেশ আলী, আলাউদ্দিন, মওলা বক্স, তমিজ উদ্দিন, মোস্তাফিজ কচি, বখতিয়ার বকুল, মেহেদি মিলন, আবুজাফর, আক্তার, সানাউল কবির শিরিন, তারিকুল, গনি,শেখ শাহিন, আশাদুল,তপু মন্ডল প্রমুখ। সমাবেশ শেষে রবিউল হোসেন শুকলালকে আহবায়ক ও মনিরুজ্জামান মন্টুকে যুগ্ম আহবায়ক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট রেল লাইন স্থাপন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়।