সরকারি নিয়ম-নীতি বা আইনের তোয়াক্কা না করে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউপির পিরোজপুর গ্রামে চলছে অবৈধ ইট ভাটা। হাইকোর্টের নির্দেশের পরও অবৈধ ভাটা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
অল্প উচ্চতার ড্রাম-সিটের চিমনির ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হয় বলে বেশি উচ্চতার ইটের চিমনি বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। সরকারের এ আদেশ মানছে না অনেক ইট ভাটার মালিক।
ঝিনাইদহের কিছু এলাকায় অবৈধ ইট ভাটা বন্ধ হলেও কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নে মেসার্স জে কে ব্রিকস আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে অল্প উচ্চতার ড্রাম-সিটের চিমনির ব্যবহার করে ইট পোড়াচ্ছে। কৃষিজমির পাশে গড়ে উঠেছে এ ইট ভাটা। এছাড়া অবৈধভাবে পোড়ানোর জন্য বিপুল পরিমাণ কাঠের খড়ি মজুদ করা হয়েছে। প্রতিদিন ট্রাক ট্রাক খড়ি নিয়ে আসা হচ্ছে এ ইট ভাটায়।
পিরোজপুর এলাকার একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, মেসার্স জে কে ব্রিকস কৃষিজমির পাশে স্থাপন করায় তাঁদের ফসলের ক্ষতি হয়। ভালো ফলন পাওয়া যায় না। ইট ভাটার মালিক স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁরা প্রতিবাদ করতেও সাহস পান না।
এছাড়া ওই ইট ভাটার কিছু দূরে একটি গ্রাম রয়েছে। এ ব্যাপারে মেসার্স জে কে ব্রিকসের প্রোপ্রাইটর সাবেক ইউ পি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং ক্ষমতার বড়াই দেখান।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ইট ভাটা স্থাপনের লাইসেন্স দিয়ে থাকে। জয়নাল আবেদিনর কাছে এ লাইসেন্স এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এবিষয়ে কোনে উত্তর না দিয়ে ক’জনের এই লাইসেন্স আছে বলে উল্টো সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সকল ভাটা মালিক কে পরিবেশ বান্ধব ইট ভাটা ব্যবহার করার জন্য বলা হয়েছে। তিনি মেসার্স জে কে ইট ভাটা সম্পর্কে অবগত নন। তিনি তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।