ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার এলাকায় অননুমোদিত ইট ভাটায় পুড়ছে কাঠ এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে প্রস্তুতকৃত কাঁচা ইটে পানি মেরে ও টিনের চিমনি ভেঙে দিয়েছেন প্রশাসন। পাশাপাশি ভাটার মালিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গত সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বারবাজার পিরোজপুর গ্রামে জে কে বি ইট ভাটায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিন্নাতুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, অভিযান চলাকালে জে কে বি ইটভাটা মালিক জয়নাল আবেদীন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং ইট পোড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দিয়ে ভাটা প্রস্তুতকৃত কাঁচা ইট পানি ঢেলে নষ্ট করে এবং পাশাপাশি ভাটার দুটি টিনের চিমনি ভেঙে দেওযা হয়।
ইট ভাটা প্রস্তুত আইনের সকল নিয়ম কানুন মেনে ভাটা পরিচালনার নির্দেশনা দেয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এর ব্যত্যয় ঘটলে অবৈধ ভাটা ধ্বংস করার নির্দেশনাও দেন। কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শেখ মামুনুর রশিদ জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্ণা রানী সাহার নির্দেশনায় ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দিয়ে ভাটা প্রস্তুতকৃত কাঁচা ইট পানি ঢেলে নষ্ট করে এবং পাশাপাশি ভাটার দুটি টিনের চিমনি ভেঙে দেওযা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিন্নাতুল ইসলাম জানান, প্রয়োজনীয় অনুমোদন ছাড়াই ইটভাটাতে টিনের চিমনি ও কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছিলো। এ জন্য অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযান এখনো চলমান আছে। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এ দিকে, জেলা প্রশাসনের কঠোর হুঁশিয়ারি থাকা সত্ত্বেও সরকারি আইন অমান্য করে উপজেলায় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় যত্রতত্র ইট ভাটা গড়ে উঠছে। কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি এবং ফসলি জমিতেও গড়ে উঠেছে ইট ভাটা।
উল্লেখ্য, কালীগঞ্জে অধিকাংশ ইট ভাটা বাজারের পাশে লোকালয়ে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি, ফসলি জমি ও বসতি এলাকায় গড়ে উঠেছে। এতে করে প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এসব এলাকার উদ্ভিদ। বাড়ছে মানুষের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। বেশ কয়েকটি ট্রাক্টর দিয়ে কৃষি জমির টপ সয়েল (জমির উপরিভাগের মাটি) এনে ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।