আয় উপার্জনের একমাত্র সম্বল ছিল ইজিবাইকটি। মেরুদন্ডের হাড়ে অপারেশন করায় অন্য কোন কাজও তেমন করতে পারেন না। ইজিবাইকে ভাড়া মেরে নিজের ঔষধ ও পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিতেন। কিন্তু গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রতারকচক্রের ফাঁদে পড়ে হারিয়ে ফেলেন ইজিবাইকটি। কান্নায় ভেঙে পড়েন রুহুল আমিন। চোখে মুখে হতাশার ছাপ। কিভাবে সংসারের খরচ চালাবেন চিন্তায় পড়ে যায় রুহুল আমিন।
জানা গেছে, রুহুল আমিনের সেই কান্নার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। রুহুল আমিনের কান্না দেখে প্রথম এগিয়ে আসে ফেসবুক ভিত্তিক কালীগঞ্জ আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপে। সর্বপ্রথম কালীগঞ্জ আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপে রুহুল আমিনকে নিয়ে একটি সাহায্যের পোস্ট দেয় এ্যাডমিন শাহরিয়ার আলম সোহাগ। দেশ ও দেশের বাইরের সদস্যরা এগিয়ে আসে রুহুল আমিনের পাশে। এছাড়াও গ্রামবাসী ও কালীগঞ্জের অন্য একটি ফেসবুক গ্রুপ ওয়াও-অচোম রুহুল আমিনের পাশে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের এম.আর এন্টার প্রাইজ থেকে রুহুল আমিনকে নতুন একটি ইজিবাইক কিনে দেওয়া হয়।
এ সময় রুহুল আমিন বলেন, কালীগঞ্জ আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপ এগিয়ে না এলে আমি আর ইজিবাইক কিনতে পারতাম না। আপনারা সহযোগিতা করায় সেটা সম্ভব হয়েছে। এই গ্রুপসহ যারা আমার সহযোগিতা করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। এখন থেকে ইজিবাইকে ভাড়া মেরেই নিজের ঔষধ ও অসুস্থ মায়ের ঔধষসহ পরিবারের খরচ চালাতে পারবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইজিবাইক হারানো রুহুল আমিন, কালীগঞ্জ আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপের এ্যাডমিন শাহরিয়ার আলম সোহাগ, মডারেটর মাজেদুল হক, তৌহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক শাহ আলম, কমলাপুর গ্রামের রিপন আলী, আলমগীর হোসেন, জামাল হোসেন প্রমুখ।
কালীগঞ্জ আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপের এ্যাডমিন শাহরিয়ার আলম সোহাগ বলেন, কালীগঞ্জ আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপ প্রতিষ্ঠার পর থেকে রক্তদান, গরীব মেধাবীদের সাহায্য ও অসহায় মানুষের সাহায্য করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রুপের পক্ষ থেকে আমরা রুহুল আমিনের পাশে দাঁড়িয়েছি। রুহুল আমিনের পাশে গ্রুপের যেসকল সদস্যরা এগিয়ে এসেছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।