ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও আশপাশের বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ যানবাহন চালক ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন নন। অথবা ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অজ্ঞ।
চালকেরা আইন না মেনে রাস্তার উপরে যানবাহন থামিয়ে যাত্রী ওঠানো নামানো করছেন। নির্দিষ্ট স্থান ব্যতীত মহাসড়কের উপরে যানবাহন পার্কিং করছে। কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে তিনটি জেব্রা ক্রসিং থাকলেও পথচারীরা যত্রতত্র ভাবে ঢাকা-খুলনা জাতীয় মহাসড়ক পার হচ্ছেন।
যার ফলে প্রায়শই এই সড়কে ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। মাত্র একজন ট্রাফিক পুলিশ থাকায় তার পক্ষেও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা অনেকসময় কঠিন হয়ে পড়ে।
কালীগঞ্জে বিভিন্ন সময়ে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) কালীগঞ্জ শাখা, বারবাজার হাইওয়ে থানা, কালীগঞ্জ পৌরসভাসহ বিভিন্ন সংগঠন চালক ও পথচারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে মানব বন্ধন, লিফলেট বিতরণ, মাইকিংসহ নানাবিধ সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তারপরও যে এক নিরব অনীহা রয়েছে যানবাহন চালকদের মাঝে।
এ বিষয়ে নিসচা কালীগঞ্জ শাখার আহবায়ক শিপলু জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন “আমাদের শাখার সকল সদস্য ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন এবং তারা সর্বদা নিজেদের সাধ্যমত চালক ও জনসাধারণকে এ বিষয়ে সচেতন করে যাচ্ছে”।
কালীগঞ্জ মটর মালিক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক সদর উদ্দিনের কাছে তাদের গৃহীত উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান “সমিতির পক্ষ থেকে সকল চালক ও স্টাফদেরকে ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে”।