ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের দরিদ্র কৃষক বাপ্পি হোসেনের ১৪ কাঠা জমির পুইশাক গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। যার আনুমানিক বিক্রিত মূল্য প্রায় দুই লক্ষ টাকা। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে একই কৃষকের ৬ কাঠা জমির বেগুন গাছ কেটে দিয়েছিল।
ভুক্তভোগী কৃষক বাপ্পি হোসেন জানান, তিনি একজন বর্গাচাষী। এর আগে গতমাসে আমার ৬ কাঠা জমির বেগুন গাছ কেটে দিয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে ক্ষেতে গিয়ে দেখি ১৪ কাঠা জমির পুইশাক গাছ কেটে দিয়েছে। এতে আমার প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। গ্রামে আমার কারো সাথে বিরোধ নেই। আমার এমন ক্ষতি করে কি লাভ হলো।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক বাপ্পির ক্ষেতে যায়। এর আগেও তার ৬ কাঠা জমির ক্ষেত নষ্ট করা হয়েছিল। কালীগঞ্জ উপজেলায় সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে ফসলী ক্ষেত বিনষ্টের ঘটনা। দূবৃর্ত্তরা রাতের আধারে একের পর এক নৃশংস ভাবে ধরন্ত -ফলন্ত ক্ষেত নষ্ট করছে। কৃষকেরা ধারদেনার মাধ্যমে ফসল চাষ করার পর ভরা ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় তারা একেবারে পথে বসছে। রাতের আধারে কে বা কারা লোক চক্ষুর আড়ালে এমন জঘন্যতম কাজটি করছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহাফুজুর রহমান মিয়া জানান, খবর পেয়ে আমরা গয়েশপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের ক্ষেত পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে একই গ্রামে বিশারত মন্ডলের ফুলকপির বীজতলার চারা কেটে সাবাড় করেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়াও গত কয়েকমাসে প্রায় ২০ জন কৃষকের ফসলী গাছ কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু দিনের পর দিন ফসলের সঙ্গে শত্রুতার ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।