চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী গ্রামে অবস্থিত আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালটির একটি কক্ষ জোর পূর্বক দখল করে দীর্ঘদিন ব্যবসা করে আসছে হারদী গ্রামের সিলাফত শেখ এর ছেলে কিরণ শেখ।
বহিরাগত কিরণ হাসপাতালের ঐ কক্ষে বসেই সরকারি ওষুধসহ বাইরের বিভিন্ন ওষুধ বিক্রি করে আসছে। সেই সাথে হাসপাতালে বসেই বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে দির্ঘদিন ধরে। বিভিন্ন সময় রোগীর আত্ময়ী সজনদের কাছে থেকে জোর করে টাকা পয়সা হাতানো সহ ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন ও কতিথ কিছু সাংবাদিকদের ছত্রছায়ায় এই সব অপকর্ম করে আসছে বলে এর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাইনা কেউ। হাসপাতাল কতৃপক্ষ বিষয়টির সব কিছু জানলেও অজানা কারনে তারা এড়িয়ে যায়।
হটাৎ করে আবির্ভাব হয়ে প্রায় বছর তিনেক ধরে লাগামহিন ভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাসপাতাল চত্তর।
মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধানে উঠেএসেছে এইসব অপকর্মের চিত্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু এলাকাবাসী জানান, কর্ম জীবনের প্রথমে একজন করিমন চালক ছিলো। স্বাহ্য বিভাগের কোন অনুমতি ছাড়া হাসপাতালের একটি কক্ষ দখল করে ঔষধ ফার্মেসী দিয়ে দেদারছে ঔষধ বিক্রয় করে আসছে।
হারদী হাসপাতালের সামনে কয়েক জন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিগত ১ মাস আগে পুলিশ কেস ফরম এর জন্য ৫ শত টাকা দাবি করে কিরণ । দিতে না চাইলে রোগীর স্বজনদের সাথে কিরণের হাতাহাতি হয়। মারামারি কোন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে পুলিশ কেস ফরম বাবদ ৩’শ থেকে ৮’শ টাকা পর্যন্ত রোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় কিরণ।
এছাড়াও দুর্ঘটনা কবলিত রোগীকে টাকা ছাড়া চিকিৎসা হতে দেন না কিরণ। চিকিৎসক না হয়েও এইসব রোগীকে টাকার বিনিময়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকে।
এ নিয়ে কিরণের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অপকের্মর কথা স্বিকার করে মেহেরপুর প্রতিদিন কে জানাই, আমি স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমতি না নিয়ে হাসপাতালের কক্ষ দখল করে আছি। ঔষধ বিক্রয় করার ক্ষমতা আমার আছে।
আমার কাছে থেকে প্রতি মাসে ৫ থেকে ১০জন সাংবাদিক সুবিদা নিয়ে থাকে আপনার কিছু দরকার থাকলে বলেন।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে হাসপাতালে নারী নিয়ে ফুর্তি নিয়ে করার অভিযোগ আছে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (আর এম ও) ডা: মুতুজ্জা আরিফিন বলেন, কিরণের বিষয়ে এবং হাসপাতালের রুম বরাদ্ধের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। টিএইচও স্যারের সাথে কথা বলেন আমি কিছু বলতে পারবো না।
আলমডাঙ্গা টিএইচও সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী বলেন, বিষয়টি আমার জানান ছিলো আমি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান ও হারদী হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আয়ুব আলী বলেন, কিরণের বিষয়টি আমার জানান নেই। হারদী হাসপাতাল পরিচালনা কমিটি কোন রুম কাউকে বরাদ্ধ দেওয়া হয়নি। আমি কমিটির সাথে কথা বলে কিরণে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা: মারুফ হাসান বলেন, সরকারী হাসপাতাল ভবনে ফার্মেসী করা যায়। কিন্ত স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমতি লাগে।
হারদী হাসপাতালে এই ধরনের কোন অনুমতি কেউ নেয়নি। কিরণের নামে কোন নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মচারী হারদী হাসপাতালে নেই। তার বিষয় আমার কিছু জানা নেই।