কুষ্টিয়ায় চুরির অভিযোগে সুরমান আলি (৩৫) নামে এক রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে থানাপাড়ার জিকে বালিরঘাট এলাকায় ঝুলন্ত অবস্থায় সুরমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সুরমান জিকে বালিরঘাট এলাকার আব্দুল কালামের ছেলে। তিনি পেশায় রিকশাচালক ছিলেন।
পরিবারের দাবি, চুরির মিথ্যা অভিযোগে একই এলাকার হালিম বিক্রেতা হাকিমসহ বেশ কয়েকজন সুরামানকে নির্যাতন করে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছেন।
নিহত সুরমান আলির ছোট ভাই সেলিম বলেন, ‘আমাদের বাড়ির সামনে হালিম বিক্রেতা হাকিমের বাড়ি। তিনি বুধবার সকালে তার বাড়ি থেকে গয়না ও নগদ টাকা চুরির অভিযোগ এনে আমার ছোট ভাই আশরাফুলকে প্রথমে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করেন। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার বড় ভাই রিকশাচালক সুরমানকে ধরে নিয়ে যান। পরে আমাদের বাড়ি থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন হাকিমসহ তার সঙ্গীরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর থেকে আমরা আমার ভাইকে কোথাও খুঁজে পাইনি। আজ সকালে জিকে বালিরঘাট এলাকায় আমেনা খাতুনের বাড়ির বাথরুমের চালের এঙ্গেলের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেই। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
সেলিম বলেন, ‘বুধবার হাকিম আমার ভাই সুরমানকে ধরে নিয়ে আটকে রেখে ইলেক্ট্রিক শকসহ লাঠি এবং ধারালো অস্ত্রদিয়ে আঘাত ও নির্যাতন করে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছেন। আমরা ভাই হত্যার বিচার চাই। বুধবার থেকে পরিবার নিয়ে আমি খোলা আকাশের নিচে রয়েছি বলেও জানান তিনি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খাইরুজ্জামান বলেন, ‘নিহত সুরমানের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’