কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের সিংগরিয়া গ্রামের দরিদ্র দিনমজুর রায়হান খান সুরতকে ঘর উপহার দিয়েছে বেসরকারি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম। আর এই ঘর পাওয়ার পর খুশিতে আত্মহারা তার পরিবার।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলো দিনমজুর রায়হান খান সুরত। স্বল্প আয়ের অধিকাংশ ব্যয় হয় নিজের চিকিৎসা করাতে। বাড়িতে নিজস্ব জমির পরিমান ২শতাংশ সেখানেই ভাঙ্গাচুরা খুপরি ছাপড়া ঘরে বসবাস করেন পরিবারের ৫ সদস্য নিয়ে। বৃষ্টির রাতে নির্ঘুম রাত কাটতো তাদের। বিষয়টি বেসরকারি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের নজরে আসে।
এরপর মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে রায়হান খান সুরতের বাড়িতে খুপরি ঘরের পরিবর্তে সেথানে নতুন করে আধাপাকা ঘর নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল রবিবার (১৩ জানুয়ারী) এ ঘরটি হস্তান্তর করা হয়।
ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের চেয়ারম্যান আশিকুল ইসলাম চপল এর সভাপতিত্বে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড’র সাবেক জেনারেল ম্যানেজার ও বিশিষ্ট গবেষক ড. মুহম্মদ রবিউল আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোপগ্রাম ফাজিল মাদ্রাসার আইনদ্দিন, খোকসা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগ প্রভাষক কবি ওয়াজেদ বাঙালি ও মাওলানা মতিউর রহমান নাটোরিসহ ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের অন্যান্য সদস্য বৃন্দ।
ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের চেয়ারম্যান আশিকুল ইসলাম চপল বলেন, ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম একটি অলাভজনক সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা চেষ্টা করে থাকি। শীতবস্ত্র, খাদ্য সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় দরিদ্র মানুষের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ ও পানির জন্য টিউবওয়েল স্থাপনসহ ভালো কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকি। এজন্য আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে ও বিভিন্নভাবে সহায়তা নিয়ে এসব অসহায় মানুষের পাশে থাকি।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলো দিনমজুর রায়হান খান সুরত। স্বল্প আয়ের অধিকাংশ ব্যয় হয় নিজের চিকিৎসা করাতে। বাড়িতে নিজস্ব জমির পরিমান ২শতাংশ সেখানেই ভাঙ্গাচুরা খুপরি ছাপড়া ঘরে বসবাস করেন পরিবারের ৫সদস্য নিয়ে। বৃষ্টির রাতে নির্ঘুম রাত কাটতো তাদের।
দরিদ্র দিনমজুর রায়হান খান সুরত ও তার পরিবারের জন্য তিন রুম বিশিষ্ট বারান্দাসহ আধাপাকা একটি ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি। এটি নির্মাণ করতে মোট ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৩০ টাকা।
নতুন ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায় দরিদ্র ভ্যান চালক রায়হান খান সুরত। এসময় তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, আমি একজন দিনমজুর। নিজের একটুখানি মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকলেও এতোদিন পরিবার-পরিজন নিয়ে খুপরি ঘরের মধ্যে কোনোমতে জীবনযাপন করতাম। এখন ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের চেয়ারম্যান আশিকুল ইসলাম চপল আমাকে ঘর দিয়েছেন। আমিসহ আমার পরিবারের সবাই খুব খুশি। এ আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।