কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রতিবেশী গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে কলম মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও জায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কলম মোল্লা দৌলতপুর উপজেলার শেহালা গ্রামের মৃত ছাগরত মোল্লার ছেলে। তিনি নিহত গৃহবধূর প্রতিবেশী ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি কলম মোল্লা পলাতক ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৫ ডিসেম্বর সন্তানদের খেলাধুলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে গৃহবধূ পারুলকে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে প্রতিবেশী কলম মোল্লা।
ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে পারুল মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় নিহত পারুল খাতুনের বাবা হাবিল শেখ ওই দিনই দৌতলপুর থানায় কলম মোল্লা ও তার স্ত্রী লিপি খাতুনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি কলম মোল্লার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ এবং লিপি খাতুনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় তাকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেন।
পরে ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল অভিযোগ গঠনপূর্বক সাক্ষ্য শুনানি ও বিচারকার্য শুরু করেন আদালত। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. মতিয়ার রহমান।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, প্রতিবেশী গৃহবধূকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান এবং তিনি বিচারের সম্মুখীন হতে ভয় পান।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্য শুনানি শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।