ঘিয়ের ন্যূনতম উপাদান নেই, অথচ নাম তার ‘খাঁটি গাওয়া ঘি’। পাম অয়েল, ডালডা ও ক্ষতিকারক রং একত্রে চুলায় জাল দিয়ে, তার সঙ্গে ফ্লেভার মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই ঘি।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা বাজারের চামনাই এলাকায় ‘মেসার্স গ্রাম বাংলা ঘি’ নামে অনুমোদনহীন একটি কারখানায় তৈরি হচ্ছে এসব ঘি। অনলাইন এবং বিভিন্নভাবে আশপাশের বিভিন্ন উপজেলায় বাজারজাত করছে দীর্ঘদিন ধরে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে ওই ভেজাল ঘি তৈরির কারখানায় অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) সুলতানা রেবেকা নাসরীন।
এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল। অভিযানে ভেজাল ঘি, তৈরির মালামাল, সরঞ্জাম ও মেশিন জব্দ করা হয়। সিলগালা করে দেয়া হয় কারখানাটি। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারখানার মালিক মোঃ লোকমান হোসেনকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৩ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল বলেন, এসব ভেজাল ঘি তৈরিতে যেসব মালামাল ব্যবহার হচ্ছিল, এগুলো মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। জব্দকৃত ভেজাল ঘি ও মালামাল ধ্বংস করা হয়। তিনি জানান, যারা খাদ্যে ভেজাল দিচ্ছে তারা দেশ ও জাতির শত্রু, তাদেরকে কোনো রকম ছাড় দেব না আমরা। এ রকম ভেজালবিরোধী অভিযান নিয়মিত চলবে বলেও জানান তিনি।