কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বীজ বাদাম চাষে কৃষকদের মুখে হাসি ও ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যে অর্থকরী সোনালী ফসল এ বীজ বাদাম ক্ষেত থেকে উত্তোলন করে চাষীদের অনেকে ঘরে তুলেছেন আবার কেউ বীজ বাদাম রৌদ্রে শুকাতে ব্যস্ত রয়েছেন।
খরচের পাঁচগুন লাভ হওয়ায় বীজ বাদাম চাষ করে চাষীদের একদিকে যেমন সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরেছে, অপরদিকে তারা হচ্ছেন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী।
দৌলতপুরসহ জেলায় আগামী মৌসুমে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৪০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে দৌলতপুরের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭৫৫ হেক্টর জমি। আর বাদাম চাষের লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান মৌসুমে বীজ বাদাম চাষ করা হয়েছে ৪৩৮ হেক্টর জমিতে।
অতিবৃষ্টি ও প্রতিকুল আবহাওয়ার কারনে বীজ বাদামের ফলন কিছুটা কম হলেও দাম বেশী হওয়ায় তা পুসিয়ে নিচ্ছেন চাষীরা। বিঘা প্রতি বীজ বাদাম চাষে চাষীদের খরচ হয়েছে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি নূন্যতম পাঁচ মন হারে ফলন হওয়ায় বীজ বাদামের বর্তমান বাজার পাঁচ হাজার টাকা মন হিসেবে খরচের পাঁচগুন লাভের মুখ দেখছেন চাষীরা। এতে তারা চরম খুশি।
দৌলতপুরের ময়রামপুর গ্রামের বীজ বাদাম চাষী সামেদুল ইসলাম ও খুরশিদ আলম জানান, তারা চলতি মৌসুমে বীজ বাদাম চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। বিঘাপ্রতি মাত্র চার হাজার টাকা খরচ করে তারা খরচের পাঁচগুন আয় করেছেন। এদিকে ক্ষেতের বাদাম উত্তোলন করে বীজ ঝরিয়ে বাদামের গাছ গৃহপালিত পশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার হয়ে থাকে। এতেকরে বাদাম চাষীদের বীজ ঝরানোর খরচও সাশ্রয় হয় আবার গবাদি পশুর খাদ্য চাহিদাও পুরণ হয়ে থাকে।
বীজ বাদাম চাষে সরকারী প্রনোদনা ও পরামর্শ দিয়ে চাষীদের সার্বিক সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম। বছরের আর্থিক চাহিদা পুরণে চাষীদের স্বপ্লকালীন সময়ের জন্য বীজ বাদাম চাষ হতে পারে অর্থ নির্ভরতার অন্যতম সহায়ক। সেক্ষেত্রে বীজ বাদাম চাষে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগকে এগিয়ে আসার আহ্বান সংশ্লিষ্টদের।