বাল্যবিবাহ দেশ ও জাতির জন্য অভিশাপ। তাই বাল্য বিবাহ বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত। বাল্যবিবাহ রোধ-সংক্রান্ত আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় এই বাল্যবিবোহ বেড়েই চলেছে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে বেশি বশে করে জনসচেতনা গড়ে তুলতে হবে।
আজ সোমবার সকালে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ‘বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান ২০১৩ আইনের উপর আয়োজিত আইনগত সচেতনতা সভায় বক্তারা এসব মতামত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তমান্নাজ খন্দকার।
বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মন্টুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) কুষ্টিয়া ইউনিটের সমন্বয়কারী এ্যাড.শংকর মজুমদার, ব্লাস্ট কুষ্টিয়া ইউনিটের প্যানেল আইনজীবী এ্যাড. আব্দুর রশীদ রানা, ইউপি মেম্বার মাসুম আলী বিশ্বাস, সাদেক আলী, সাবেক মেম্বার উফান আলী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমাদের দেশে বেশির ভাগ মেয়ের বিয়ে হয় ১২ থেকে ‘১৮ বয়সের মধ্যে।গ্রামের মেয়েদের বেশির ভাগই বিয়ের এক বছরের মধ্যে সন্তান জন্ম দেয়। আর এসব বাল্যবিবাহের অধিকাংশ কারণগুলো হচ্ছে দরিদ্রতা, সচেতনতার অভাব, প্রচলিত প্রথা ও কুসংস্কার, সামাজিক অস্থিরতা, মেয়েশিশুর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, নিরাপত্তার অভাব, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, যৌতুক প্রথা এবং বাল্যবিবাহ রোধ-সংক্রান্ত আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়া। বাল্যবিবাহের কারণে অপরিণত বয়সে সন্তান ধারণ, মাতৃমৃত্যুর হার বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যহানি, তালাক, অপরিপক্ব সন্তান প্রসবসহ নানাবিধ জটিলতার শিকার হচ্ছে।
বাল্য বিবাহ বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত উল্লেখ করে বক্তারা জানান, বাংলাদেশে বাল্য বিবাহ একটি মারাত্মক সমস্যা৷সমাজে বাল্য বিয়ে ও জোরপূর্বক বিয়ে বন্ধে শুধু প্রশাসনের ভূমিকাই নয়, বাবা-মাকে আগে সচেতন হতে হবে পাশাপাশি বাল্য বিবাহ বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, ইউপি মেম্বার, কাজী, স্কুল শিক্ষক, ইমাম,মোয়াজ্জম সহ অনান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সার্বিকভাবে পরিচালনা করেন ব্লাস্ট কুষ্টিয়া ইউনিটের ল-ক্লার্ক এশখ ইসতিয়াক বকস্।