কুষ্টিয়ায় এক কিশোরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্জন স্থানে মারপিট করে ভিডিও সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল করে দেয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মারপিটের শিকার ওই কিশোরের বাবার করা মামলায় গতকাল শুক্রবার চার কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে বিভিন্ন স্থান থেকে চার কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আগে রাতেই মারপিটের শিকার কিশোর লাবিব আলমাসের (১৪) বাবা মো. শামসুর রহমানের করা অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ।
শামসুর রহমান কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ার বাসিন্দা। তিনি রেলওয়েতে লোকোমাস্টার পদে কর্মরত আছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ১৮ নভেম্বর বিকেলে তার ছেলে লাবিবকে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে মো. অভি ডেকে নিয়ে যায় শহরের চাঁদাগাড়া মাঠে। সেখানে আরও ৪-৫ জন মিলে ব্যাপক মারধর করে। মারধরের এই দৃশ্যধারণ করে দেড় মিনিটের ভিডিও তারা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ভাইরাল হয় ভিডিওটি।
অভিযোগপত্রে লাবিবেব বাবা উল্লেখ করেন এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে অভির কিশোর গ্যাং মেরে ফেলার হুমকি দেয়। কিশোর লাবিব আলমাস কুষ্টিয়া কালেক্টরেট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। আর মারপিটকারীরা কুষ্টিয়ার শাহীন ক্যাডেট স্কুলসহ বিভিন্ন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
গ্রেপ্তারকৃত চার কিশোর হলো, মো. মাহমুদুর রহমান অভি, খালেকুজ্জামান মিতুল, ইসমে শাওন ও মো. হাসিব। এদের বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন এলাকায়। সবার বয়স ১৪ বছর।
পুলিশ জানিয়েছে তাদের আদালতে তোলা হবে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, আটক চারজনকে কুষ্টিয়া আদালতে (নারী ও শিশু অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল) তোলা হয়েছে। তদন্ত শেষে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।