কুষ্টিয়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫জনের মৃত্যু হয়েছে। এবং নতুন করে আরও ১৯৫ জন (কোভিড-১৯) করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সিভিল সার্জন ডাঃ এএইচএম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, (গতকাল) ৫৭৭ টি নমুনার মধ্যে ১৯৫ টি পজিটিভ। যার মধ্যে পিসিআর ল্যাবে ৯৯ টি এবং এন্টিজেন টেস্ট ৪৭৮ টি নমুনার মধ্যে যথাক্রমে ১৯ টি এবং ১৭৬ টি পজিটিভ এসেছে। উপজেলা ভিত্তিক রিপোর্টে সদরে ৬৩ জন,কুমারখালি ৩৬ জন, দৌলতপুরে ২৪ জন, ভেড়ামারায় ২৯ জন,মিরপুর উপজেলায় ২২ জন, খোকসায় ২১ জন পজিটিভ এসেছে।
হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির সংখ্যা এখানে প্রতিনিয়ত বাড়ছে। চাপ সামলাতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের বেগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলা সদর এমনকি জেলার দূর-দূরান্ত থেকেও করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ছুটে আসছে। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসক ও জনবল যা আছে তা দিয়ে রোগীর চাপ সামাল দেয়া গেলেও এভাবে যদি চাপ বাড়তেই থাকে তাহলে অতিরিক্ত লোকবল প্রয়োজন হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন তাদের প্রায় প্রত্যেকেরই অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে। এদিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটিতে এখন আর করোনা ছাড়া অন্য কোনো রোগী ভর্তি নেয়া হচ্ছে না। হাসপাতালটি করোনা ডেডিকেটেড ঘোষণা করে বহির্বিভাগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অন্য রোগীদের পার্শ্ববর্তী ডায়াবেটিস ও আদ্বদীন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলা হচ্ছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭৭টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে জেলায় নতুন করে ১৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৮৫ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ২৩৪ জন। মৃত্যের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৬ জনে। নতুন করে আক্রান্তের তালিকা উপজেলা ভিত্তিক রিপোর্টে সদরে ৬৩ জন,কুমারখালি ৩৬ জন,দৌলতপুরে ২৪ জন, ভেড়ামারায় ২৯ জন, মিরপুর উপজেলায় ২২ জন, খোকসায় ২১ জন পজিটিভ এসেছে।