জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলাচনা সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আরিফুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু রাসেল, বিজ্ঞ জিপি এ্যাড. আসম আক্তারুজ্জামান মাসুম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার হাজী রফিকুল আলম টুকু, কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরির সদস্য সচিব বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক দৈনিক কুষ্টিয়ার সম্পাদক ড. আমানুর আমান, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের (কেপিসি) সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এটি একটি লিখিত দলিল। সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে সর্বদা সংবিধানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। সংবিধানের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যেতে হবে।
সভায় বক্তারা বলেন, পৃথিবীতে যত সংবিধান হয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধান অন্যতম। আর এই সংবিধানকে সমুন্নত রাখার দায়িত্ব সকলের।
বক্তারা আরও বলেন, ৪ নভেম্বর বাঙালি জাতির এক ঐতিহাসিক দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র ১১ মাসের মধ্যে এদিনে গৃহীত হয়েছিল বাঙালি জাতির অধিকারের দলিল, বহুল আকাঙ্ক্ষিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান।
সরকারের কর্মচারীরাই সংবিধানের ধারক ও বাহক হিসেবে উল্লেখ করে সকলকে নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান বক্তারা।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নাসরিন আক্তার বানু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আক্তার, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন, জেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার নূরে সফুরা ফেরদৌস, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধন কুমার বিশ্বাস, সহকারী কমিশনার ভূমি দবির উদ্দিন, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক এম লিটনউজ্জামান, সাপ্তাহিক প্রভাষণ পত্রিকার সম্পাদক আক্তারুজ্জামান মৃধা পলাশ, দৈনিক দেশের বানী পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এসএম জামালসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ‘সংবিধান বিল’ হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ও অনুমোদিত হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। সংবিধান প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তীতে ৪ নভেম্বরকে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। এবার থেকে প্রতি বছর ৪ নভেম্বর ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ হিসেবে পালিত হবে।