কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা না দিয়েই করোনা পজেটিভ শনাক্ত হন শহরের এক বাসিন্দা। বুধবার রাতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যরা ওই ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন করতে যান।
এসময় ওই বাসিন্দা হত-চকিত হয়ে বলেন, আমি তো করোনা পরীক্ষার কোন নমুনাই দেইনি কিংবা স্বাস্থ্য বিভাগের কেউ আমার বাড়িতে এসে নমুনাও সংগ্রহ করেনি।
তিনি আরো বলেন, আমাকে তাহলে করোনা পজিটিভ শনাক্ত করা হলো কেন? এনিয়ে শহরময় হাস্যরস ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরের পূর্ব মজমপুর এলাকার বাসিন্দা গোলাম রসুল (৬২) কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে অবসরপ্রাপ্ত এমএলএসএস।
তিনি জানান, গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানোর জন্য রক্তের নমুনা দেন। এছাড়া তিনি হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে করোনা পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। এরপর তার নাম, ঠিকানা ও মুঠোফোন নম্বর লিখে চিকিৎসক তাকে পরামর্শ ও ব্যবস্থাপত্র নেন।
তবে হাসপাতালে করোনার নমুনা দেওয়ার কথা থাকলেও পরে তিনি আর নমুনা দেননি। কিন্তু গোলাম রসুল নমুনা না দিলেও বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যরা তার বাড়ি লকডাউন করতে এনেস জানায় যে, বুধবার কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবরটোরিতে নমুনা পরীক্ষার প্রাপ্ত তালিকায় গোলাম রসুলের নাম রয়েছে। গোলাম রসুল জানান, করোনার কোন উপসর্গ তার ছিল না। যেহেতু চলাফেরায় তিনি অনেক মানুষের সংস্পর্শে গেছেন তাই তিনি ফ্লু কর্নারে পরামর্শ নিয়েছিলেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক নুরুন্নাহার বেগম জানান, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। খতিয়ে দেখে এ ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।