কুষ্টিয়ায় কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে “পুলিশ মেমোরিয়াল ডে” উদযাপন করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ লাইন্সে জেলা পুলিশের আয়োজনে “পুলিশ মেমোরিয়াল ডে” উদযাপন করা হয়।
তাঁদের অবদানকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য তাদের স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম। এ সময় পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ নিহতদের পরিবারের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিহত পুলিশ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। “পুলিশ মেমোরিয়াল ডে” উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালি শহর প্রদক্ষিণ শেষে পুলিশ লাইন্স সম্মেলন কক্ষে নিহতদের স্বজনদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলার পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম।
এ সময় তিনি বলেন, পুলিশ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা এবং দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকে। সাধারণ মানুষ যখন ঘুমায় তখন পুলিশ জেগে থাকে। মানুষের নিরাপদ ঘুম নিশ্চিত করে। এ দায়িত্ব অত্যন্ত কঠিন।
কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, তারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। তাদের পরিবারের কল্যাণ দেখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি বলেন, নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে সুযোগ-সুবিধা প্রদানে সরকার যথেষ্ট আন্তরিক।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের পেশা অন্য যে কোন চাকরির চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এ পেশায় ঝুঁকি নিয়েই আমাদের প্রতিনিয়ত দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার গুরু দায়িত্ব পালন করতে হয়। কর্তব্য পালনকালে জীবন উৎসর্গ করে পুলিশ সদস্যরা ত্যাগের এক সুমহান আদর্শ স্থাপন করে গেছেন। তাদের এ আত্মত্যাগ আমাদের জন্য গৌরবের। দেশের মানুষ চিরদিন তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার’র পুলিশ সুপার, ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোঃ শহীদ আবু সরোয়ার, সিআইডিার পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম বিপিএম (সেবা)সহ জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
আলোচনা শেষে নিহতদের স্বজনদের মাঝে উপহার সামগ্রী তুলে দেন প্রধান অতিথি।
২০১৭ সাল থেকে নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে “পুলিশ মেমোরিয়াল ডে” প্রতি বছর ১লা মার্চ পালন করা হচ্ছে।