বিএসটিআইয়ের (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস্ অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন) কোনো অনুমোদন নেই। অথচ আইসক্রীমের মোড়কে তাদের লোগো রয়েছে। এভাবেই এসব আইসক্রীম বিপণন ও বাজারজাত করা হচ্ছে।
এ ছাড়া বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও কোণ এবং চকবার আইসক্রিম তৈরি করা হচ্ছে, ফুজি রোবু ড্রিংকস এর ভেতরে কোন ভিটামিন না থাকা সত্ত্বেও প্যাকেটের গায়ে লেখা হচ্ছে ২৩% ভিটামিন সি রয়েছে।
কুষ্টিয়া শহরতলীর চৌড়হাসে ‘ফুজি আইসক্রীম’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কারখানায় বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে এসব তথ্য পান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পরে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপককে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্বৃ দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল।
এসময় তিনি জানান, কুষ্টিয়ায় বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও কোণ এবং চকবার আইসক্রিম তৈরি করা হচ্ছে, পাশাপাশি বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করা হচ্ছে এছাড়াও ফুজি রোবু ড্রিংকস এর ভেতরে কোন ভিটামিন না থাকা সত্ত্বেও প্যাকেটের গায়ে লেখা হচ্ছে ২৩% ভিটামিন সি রয়েছে।
অভিযানকালে কারখানার ভেতরে উৎপাদিত খাবারসামগ্রীর মোড়কে বিএসটিআইয়ের সিল দেখা গেছে। কিন্তু, প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা এসংক্রান্ত কোনো অনুমোদনপত্র দেখাতে পারেননি।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ফুজি আইসক্রিম এর কারখানা মালিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৪ ধারায় ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
তদারকিতে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) সুলতানা রেবেকা নাসরীন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।