“বাংলা ইশারা ভাষার প্রচলণ, বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জীবনমান উন্নয়ন” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ায় বাংলা ইশারা ভাষা দিবস পালন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবদুল কাদের এর সভাপতিত্ব এসময় বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আরিফুজ্জামান, জিপি এ্যাড. আ স ম আক্তারুজ্জামান মাসুম, শহর সমাজসেবা অধিদপ্তর সমন্বয় পরিষদের সভাপতি গাজী গোলাম মোস্তফা, কুষ্টিয়া মুক ও বধির সংগঠনের সভাপতি ও কাউন্সিলর মোঃ সাইফ-উল-হক মুরাদ, জেলা প্রতিবন্ধী সেবা কেন্দ্রের চিকিৎসক ডা: কমলেশ সাহা এবং কুষ্টিয়া মুক ও বধির সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, ভাষা ব্যবহাররের বিবেচনায় বাংলা ইশারা ভাষা দেশের ২য় বৃহত্তম ভাষা। বাংলা ইশারা ভাষা শ্রবণ প্রতিবন্ধী মানুষদের মৌলিক ভাষা। ভাষাভিত্তিক প্রতিবন্ধিকতাই শ্রবণ প্রতিবন্ধী মানুষদের একমাত্র প্রতিবন্ধকতা। তাই শ্রবণ প্রতিবন্ধী মানুষদের অধিকার ও মর্যাদা পূর্ণ জীবন নিশ্চিত করার জন্য বাংলা ইশারা ভাষার প্রচার ও বিকাশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সমাজের বিভিন্ন ধরণের প্রতিবন্ধী রয়েছে। তাদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই দেশের উন্নয়নে তাদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
কুষ্টিয়া মুক ও বধির সংগঠনের নেতারা বলেন, আমাদের ইশারা ভাষাটা চালু হলে আমরা সমাজে সবার সাথে সম্পৃক্ত হতে পারবো। আমাদের মতো অনেক শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী আনাচে কানাচে রয়েছে। তাদের জন্য ইশারা ভাষার বই প্রকাশ করে তাদের মাঝে বিতরণ করলেও তারাও উপকৃত হবে। ইশারা ভাষাকে জনপ্রিয় করা এবং সকল সরকারী অফিস আদালতে ইশারা ভাষা জানা ব্যক্তিদের রাখার দাবী জানান। এছাড়াও সকলের কাছে এই ইশারা ভাষা পৌছে দিতে গণমাধ্যমসমূহকে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পরে আলোচনা সভা শেষে মুক ও বধিরদের মাঝে সহায়ক সামগ্রী বিতরন করা হয়।