কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা বলেছেন, বাংলা ইশারা ভাষা শ্রবণ প্রতিবন্ধী মানুষদের মৌলিক ভাষা।
তিনি বলেন, বাংলা ইশারা ভাষার গবেষণার জন্য এবং ইশারা ভাষা যেন সব শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীরা সহজেই পড়ে জানতে পারে তার জন্য বই প্রকাশ করে এবং তাদের শিখানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
আজ বুধবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস উদযাপন ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ভাষা ব্যবহাররের বিবেচনায় বাংলা ইশারা ভাষা দেশের ২য় বৃহত্তম ভাষা। বাংলা ইশারা ভাষা শ্রবণ প্রতিবন্ধী মানুষদের মৌলিক ভাষা। ভাষাভিত্তিক প্রতিবন্ধিকতাই শ্রবণ প্রতিবন্ধী মানুষদের একমাত্র প্রতিবন্ধকতা। তাই শ্রবণ প্রতিবন্ধী মানুষদের অধিকার ও মর্যাদা পূর্ণ জীবন নিশ্চিত করার জন্য বাংলা ইশারা ভাষার প্রচার ও বিকাশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সমাজের বিভিন্ন ধরণের প্রতিবন্ধী রয়েছে। তাদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই দেশের উন্নয়নে তাদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবদুল কাদেরের সভাপতিত্ব এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ মুরাদ হোসেন, শহর সমাজসেবা অফিসার জহিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ আবু রায়হান, প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ শামীম রেজা, মুক ও বধির সংগঠনের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান সুমন, রতনা-হিরা-পারভেজ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এরআগে “বাংলা ইশারা ভাষার প্রসার করি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
উলেখ্য, ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে এসডিএসএলের নেতৃত্বে বিভিন্ন জেলার প্রায় ৩০ টির বেশি শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনসমূহ এই দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিল। প্রতিবন্ধীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ২৬ জানুয়ারি ২০১২, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এক আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলা ইশারা ভাষা দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।